Petkati Durga রঘুনাথগঞ্জে পেটকাটি বিসর্জন দেখতে ভিড়

Published By: Imagine Desk | Published On:

Petkati Durga  রবিবার রঘুনাথগঞ্জে পেটকাটি বিসর্জন দেখতে নদীর দুপাশে উপচে পড়ল ভিড়। রঘুনাথগঞ্জের Raghunathganj গদাইপুরে পেটকাটি দুর্গা ঘিরে লুকিয়ে রয়েছে প্রাচীন লোককথা। রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজো Durga Puja প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন। দশমীর দিন নৌকো করে পেটকাটি দুর্গাকে আনা হয় রঘুনাথগঞ্জ সদর ঘাটে। রবিবাস সকালে নৌকায় পরিক্রমার পর রঘুনাথগঞ্জ শ্মশানঘাটে পেটকাটি দুর্গাকে বির্সজন দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন ।

Petkati Durga এই পেটকাটি দুর্গা ঘিরে রয়েছে নানা লোককথা।

Petkati Durga পেটকাটি নাম কেন?

এই নাম করণের নেপথ্যেও রয়েছে নানান কাহিনি। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের, গদাইপুর গ্রামের এই পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। দেবী এখানে পূজিতা হন পেটকাটি দুর্গা নামে। এই নামের নেপথ্যেও রয়েছে ইতিহাস।

লোকমুখে শোনা যায়, এই মন্দিরে এক সময় কৃষ্ণের মূর্তি থাকায় বলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সেই রাতেই পুরোহিতের এক কন্যা উধাও হয়ে যান। পুরোহিতকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবী। পরদিন সকালে, প্রতিমার পেট কেটে বের করা হয় তাঁর কন্যাকে। সেই থেকে পেটকাটি দুর্গার পুজোয় কখনও বলি বন্ধ হয়নি।

এখনও দেবী প্রতিমার মুখে এক টুকরো কাপড় লাগানো থাকে। পায়ে বাঁধা থাকে শেকল। সেই প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমা তৈরির সময় কেটে রাখা হয় পেট। মুখে আটকানো শাড়ির আঁচল ওই কিশোরীকে খেয়ে ফেলার প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়। ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে সেই থেকেই দেবীর পায়ে প্রতীকী শেকল পরানো থাকে। এবং যদি দেবীর মুখ লক্ষ্য করা হয় তাহলে সেখানেও দেখা যাবে, দেবীর চোখ কিন্তু বেশ বড় বড়। এবং মায়ের গায়ের রং হলুদ।

Petkati Durga  দশমীর দিন  নদীপথে নৌকো করে পেটকাটি দুর্গাপ্রতিমাকে আনা হয় জঙ্গিপুর সদর ঘাটে। এলাকার অন্যান্য দুর্গা প্রতিমাও আনা হয় সদর ঘাটে। বসে মেলা, চলে বাইচ। সব প্রতিমার সঙ্গে সাক্ষাতের পর একাদশীর দিন বেলা ১১টায় জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে প্রথমে পেটকাটি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তার পর বাকি প্রতিমার নিরঞ্জন হয়।