নিজস্ব সংবাদাদাতা, বেলডাঙাঃ শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক এই উৎসবে মেতে উঠেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। গ্রামীণ মেলা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আলোর সাজে সেজে উঠেছে শহর। শুক্রবার সন্ধ্যায় আলোক রশনায় সেজে ওঠে বেলডাঙা। সব মিলিয়ে বেলডাঙায় প্রায় ২০০’র কাছাকাছি কার্তিক ও ভৈরব পুজো হয়ে থাকে। বেলডাঙার পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে প্রাচীন ও সুনামধন্য পুজো বেলডাঙার বুড়ো শিব।
কয়েকশো বছরের পুরনো ছুতারপাড়ার বাথানগড়ের বুড়ো শিব দেখতে ভিড় সবচেয়ে বেশি । উৎসবে সামিল ৮ থেকে ৮০ সকলেই। বুড়ো শিব পুজো কমিটির সভাপতি সজল সান্যাল জানান, ‘শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো, আমার জন্মানোর আগের থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। এবং প্রথম থেকে যে নিয়মে পুজো হত সেই নিয়মানুসারেই আমরা এখনও পুজোটাকে চালিয়ে যাচ্ছি। ‘ প্রচুর ভক্তরা ইতিমধ্যে বহু দূর ধুর থেকে এসে পুজো দিয়ে গিয়েছেন। এখনও আসছেন।
কিছুদিন আগেই মিটল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গউৎসব। এবং তারপর পেছন পেছন শেষ হল লক্ষ্মী পুজো, কালী পুজো এবং ভাই ফোটাও। যেমন কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। ঠিক তেমনই শীত শুরু হতে হতেই শুরু হয়ে গেল শিব পুজো। এবং সমস্ত জেলা জুড়েই ঘটা করে প্লাইত হয় এই শিব পুজো।