নিজস্ব প্রতিবেদনঃ রাতের কলকাতায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি? সব ঠিকই ছিল। সোমবার সকাল থেকেই দুর্গা মণ্ডপে ঠাকুর দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবারও সেই পরিকল্পনা সেরে রেখেছিলেন শহর কলকাতার অনেকেই। কারণ দিন যত বাড়বে ভিড় বাড়বে। তারপর এখনও অফিস চালু। তাই ভোরে উঠে আগেভাগে ঠাকুর দেখে নেওয়া। বহরমপুর (Berhampore) ইন্দ্রপ্রস্থের শকুন্তলা মঙ্গলবার সকালে ফোনে বলছিলেন, কালই আমি কলকাতা মাসির বাড়ি এসেছি। ঠাকুর দেখব বলে। তখন রাত সাড়ে ১০ টা হবে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ইন্দ্র দেবতাকে ডাকছিলাম অন্তত ইন্দ্রপ্রস্থবাসীর প্রার্থনা শুনে বৃষ্টি বন্ধ করিয়ে দাও। ও মা। রাত বাড়তে এমন বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল যে হুলস্থূল কাণ্ড[। আমার মাসিরা বলছেন এরকম বৃষ্টি দেখেননি। মুষলধারে বৃষ্টি থামতেই চায় না। সব গলিতে-গলিতে রাস্তায় জল জমে। অনেক বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। আমাদের ঠাকুর দেখা হয়ে গেল। ভোর সাড়ে ৫ টাতেও বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে খারাপ অবস্থা। ট্রেন লাইনে জল জমে গিয়েছে। মেট্রো লাইনে জল। শিয়ালদহ শাখায় ব্যাহত ট্রেন। এখন ইন্টারনেটের যুগ। ভোরেই খবর পৌঁছে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কলকাতাগামী অফিস যাত্রীরা চিন্তায়। ট্রেন কলকাতা পৌঁছবে তো? সকালে খবর আসে দমদমের পর ট্রেন আর এগোচ্ছে না। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন বন্ধ।
Berhampore News: আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও বৃষ্টি হতে পারে। যে এলাকাগুলি জলের তলায় সেখানে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি পুজোর শুরুতেও আরেকটা নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে । বহরমপুরের এক পুজো উদ্যোক্তা বলছিলেন, প্যান্ডেল বাঁধাইয়ের কাজ চলছে এই সময় এদিকে বৃষ্টি হলে সমস্যায় পড়ে যাব।