Palash Ghosh দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হল শনিবার সন্ধ্যায়। বাড়ি ফিরলেন, তবে কফিনবন্দি হয়ে। পরিবারের মুখে হাসি ফুটল না, চোখের জলে ভিজল পথঘাট। কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে তুষারঝড়ে নিহত প্যারা কম্যান্ডার পলাশ ঘোষের কফিনবন্দি দেহ ফিরল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। পলাশ ঘোষের দেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কনভয় শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামে পৌঁছতেই চারিদিকে কান্নার রোল। চোখের জল, হাহাকারে বিদায় বেলায় শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় গ্রামে। রুকুনপুরের বলরামপাড়া গ্রাম জুড়ে হাহাকার। কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলাশ ঘোষের মা, স্ত্রী, পরিবার, পরিজনেরা।

Palash Ghosh জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে রাখা পলাশ ঘোষের দেহ আগলে রাখলেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির উঠোনে কফিন বন্দি দেহ রাখা থাকল কিছুক্ষন। এরপরেই বাড়ির কাছেই অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে বীর জওয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন আপামর মানুষ। গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল চোখের জলে। শোকে কাতর পরিবারের আর্তনাদে বিষণ্ণতা চারিদিকে।
Palash Ghosh স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার অসংখ্য মানুষ এদিন পলাশ ঘোষের শেষ বিদায়ে সঙ্গী হলেন। পরিবারের এই শোকের সময়ে ভারাক্রান্ত মনে সমবেদনা জানানো হল। ৪৫ দিনের ছুটি কাটিয়ে দু’সপ্তাহ আগেই কাশ্মীর রওনা দিয়েছিলেন পলাশ ঘোষ। ‘দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছে, গর্বিত’। চোখের কোনে জল লুকিয়ে জানিয়েছেন পলাশ ঘোষের (Martyred Soldier Palash Ghosh) বাবা প্রশান্ত ঘোষ। কিন্তু মানছে না মায়ের মন। ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই চলেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী। বাড়িতে রয়েছে ৮ বছর ও ৪ বছরের দুই কন্যা সন্তান। কান্নাকাটি দেখে তারা হতবাক।
Palash Ghosh কাশ্মীরে মিলল হরিহরপাড়ার বীর সেনাকর্মীর দেহ । এলাকায় শোক
Palash Ghosh ২০০৯ সালের ২৭ মার্চে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন পলাশ ঘোষ। প্রথমে আগ্রা তারপর দেশের নানান প্রান্তে। রুকুনপুর হাইস্কুলে পঠন পাঠন। তারপর বহরমপুর কমার্স কলেজ। সেখানে দর্শনে প্রথম শ্রেণী। তবে কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন বহরমপুরে মিলিটারির চাকরির লাইন। সেখান থেকে চাকরিতে চলে যান। অপারেশন সিন্দুরের সময় কাশ্মীরে ছিলেন মুর্শিদাবাদের বীর পুত্র। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে শোস্তব্ধ জেলা থেকে রাজ্য।