Padma river ভাঙন হচ্ছে কোথায় সরকার? লালগোলায় Lalgola ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে সরকারকে নিশানা করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী Adhir Ranjan Chowdhury । লালগোলায় তারানগরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও সেচ দপ্তরকে নিশানা করেছেন অধীর । ভয়াবহ পদ্মা ভাঙ্গন শুরু হয়েছে লালগোলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। অনেকেই ভাঙ্গনের আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। শুক্রবার দুপুরে তারানগরে সরজমিনে ভাঙ্গন দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। এদিন তারা নগরে ভাঙ্গন দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রীও তুলে দেন অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন ভাঙ্গন হলেও দপ্তর উদাসীন। এখানে ভাঙ্গন রোধের নামে দুর্নীতি হবে।
Padma river Lalgola Erosion পদ্মা ভাঙ্গন আতঙ্ক লালগোলায়
অধীর এদিন বলেছেন, ” কেন্দ্রীয় জল ও সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে আজ যোগাযোগ হয়েছে। তাঁকেও জানিয়েছে ভাঙ্গনে ভয়ংকর অবস্থা। লিখিত ভাবে জানাতে বলেছিন তিনি”। এদিন অধীর সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ” সরকার নেই। কিছুই নেই। প্রবল বন্যাকে বাঁধ দিয়ে ঠেকানো যায় ? বাঁশ ফেলে কাজ হচ্ছে। এই বাঁশ, বালি নিয়ে কারবার চলবে। টাকা চুরি হবে”।
Padma river দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে লালগোলায় পদ্মা ভাঙ্গন। গত কয়েক দিনে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে লালগোলার তারানগর, রাধাকৃষ্ণপুর, বয়রা ও খাদুয়া এলাকায়। ভাঙ্গনের আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে নদী পারের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বহু পরিবার ঘর বাড়ি ভেঙে জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পারি দিচ্ছেন। শুক্রবার সকাল থেকেও ঘর বাড়ি ছেড়ে ঘর ছাড়া হতে দেখা গেল নদীপারের বাসিন্দারা। ভাঙ্গনের আতঙ্কে ঘুম উরেছে পদ্মাপারের বাসিন্দারা। ভাঙ্গন প্রতিরোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নদী পারের বাসিন্দারা। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে ভয়াল পদ্মা। এর মাঝেই ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে অনেকটাই। নিজেদের শেষ সম্বল টুকু বাজারে নিজে হাতে গড়া বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়েছেন নদী পারের বাসিন্দারা। এই নদী ভাঙ্গন রোখা না গেলে আগামী দিনে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।