Over Eating Habit আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা একবার পেট ভরে খাওয়ার পর। আবার কিছু না কিছু খেতে থাকেন। তাদের দাবি পেট ভরলেও মন ভরেনি। তাহলে সবটাই কি চোখের ক্ষিদে ? চিকিৎসকা বিদ্যায় এটিকে ‘হেডোনেক ইটিং’-এর (Hedonic Eating) অভ্যেস বলা হয়।
‘হেডোনেক ইটিং’ কী ?
গ্রীক মাইথোলজি অনুযায়ী হেডোন হল আনন্দের দেবি। সেই থেকেই এই রোগের নামকরণ করা হয়েছে হেডোনেক ইটিং। এই রোগটি হচ্ছে এমন অবস্থা। যেখানে একটি মানুষ কোনরকমের ক্ষুধার্ত বোধ থেকে নয় কিংবা কোন রকমের শরীরে ক্যালোরির প্রয়োজন তার থেকে নয়। বরং মনের আনন্দ বা বলা চলে মানসিক সুখ পাওয়ার জন্যই খেয়ে থাকেন। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাদেরই বাড়ে যাদের কাছে সব সময় খাবার থাকে।
‘হেডোনেক ক্ষিদে’ কী ?
গাড়ি চালাতে যেমন পেট্রোল বা ডিজেল লাগে। তেমনই আমাদের শরীর চলতেও প্রয়োজন ক্যালোরির। এবং সেটা আমরা পায় বিভিন্ন খাবার থেকে। কিন্তু মাত্রাতিক্ত পেট্রোল বা ডিজেল যদি গাড়িতে প্রবেশ করে। তাহলে সেটি যেমন বেকার হয়ে যায়। ঠিক তেমনই শরীরে যদি অতিরিক্ত খাবার যায় তাহলে সেটিও কোন কাজে আসে না। বরং সেটি আমাদের শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমে যায়। কিন্তু শারীরিক ক্ষিদে এবং হেডোনিক ক্ষিদে এই দুই অবস্থার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ হেডোনিক ক্ষিদে হচ্ছে মানসিক ক্ষিদে। এখানে খাওয়ার পেছনে মূল উদেশ্য আনন্দ পাওয়া।
কিন্তু এখানে প্রশ্ন এখানেই। সবাই আমরা আনন্দের জন্য খায়। তাহলে সমস্যা কোথায় ? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আমরা সকলেই কমবেশি খাবারের থেকে আনন্দ উপভোগ করি। কিন্তু অনেকে সেটা কন্ট্রোল উপায়ে করতে পারি। কিন্তু অনেকেই মানসিক চাপ, অসস্থি কিংবা যেকোনো কারণে বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা হেডোনিকে আক্রান্ত। তারা বেশি পরিমাণে ফ্যাট, চিনি, মশলা জাতীয় খাবারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন। তাই শাকসবজি বা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী খাবারের প্রতি এনারা বেশি আগ্রহী হন না।
‘হেডোনিক ইটিং’ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ?
এই রোগে আক্রান্ত মানুষেরা সচারচর অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন। ফলে তাদের শারীরিক নানান সমস্যা দেখা যায়। স্থূলতা থেকে শুরু করে হার্টের সমস্যা। কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস এছাড়াও আরও অন্যান সমস্যা রয়েছে।
কীভাবে বাঁচাবেন নিজেদের ?
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা বারবার বলছেন। একেবারে খাবারের পরিমাণ যেন না কমানো হয়। কারণ শরীর সহজে এই বিষয়টাও মেনে নিতে পারবে না। তাই ধীরেধীরে কমাতে হবে খাবারের পরিমাণ।
ছাড়তে হবে অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার থেকে শুরু করে ফাস্টফুড এই সমস্ত। তবেই কমবে স্থূলতার সমস্যা এবং পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পালটাবে।
এছাড়াও নিয়মিত নিয়মানুসারে করতে হবে যোগব্যাম। হাঁটতে হবে নিয়ম করে।