মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ সেদিনের ‘জোশ ফিলিং-এর কথা মুখে বলে বোঝানো যাবে না। আজও সেই একই জোশ শরীরে অনুভব করি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছিল ভারতীয় সেনা। ফলে ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক সেনা। দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ বলে উদযাপন করে বাংলাদেশ। ভারতীয় সেনাও দেশে পালন করে ওই দিনটি। শনিবার সকালে ব্যারাক স্কোয়ারের পাশের শহিদবেদীতে ফুল মালা দিয়ে পালন করা হল বিজয় দিবস।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সৈনিক, মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র আব্দুল বারি। এদিনের অনুষ্ঠানে এসে স্মৃতিচারণ করলেন সেই যুদ্ধের কথা। মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৩ তারিখে যুদ্ধটা আরম্ভ হয়। তার আগে থেকেই যুদ্ধ চলছিল। ১৬ তারিখে সিজ ফায়ার কমপ্লিট হয়। সেই দিনই বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আমরা ভারতীয় সৈন্যরা সাহায্য না করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। ‘অপারেশন ক্যাকটাস লিলি’ ছিল ওই যুদ্ধের নাম।
নিজের কানে প্রথম বোমার আওয়াজ শোনার কথা নিজের মুখে বললেন যোদ্ধা। আব্দুল বারি জানান, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৩ তারিখ। বিকেল বেলা একটা নাগাদ হঠাৎ একটা বোম্ব ব্লাস্টের আওয়াজ পেলাম। কেঁপে গেল শরীর। ওই জীবনে প্রথম বোমার আওয়াজ শোনা। কোনওরকমে ওখান থেকে এলাম। জলন্ধর থেকে ১০ কিমি দূরে একটা গ্রাম আছে ঝান্ডসিঙ্গা ওখানে বোম ফেলেছিল পাকিস্থান। তারপর তো শুরু হয়ে গেল। এয়ারফোর্সের সাথেও আমি থেকেছি যুদ্ধের পিরিয়ডে। বাঙ্কারের ওপরে আমরা একদম দাবা পড়ে গিয়েছিলাম ৩ দিন। কৃপা উপরওয়ালার আমরা বেঁচে গিয়েছি। তিনদিন পরে নতুন ডিটাচমেন্ট এসে আমাদের উদ্ধার করে। বাইরে এসে শুনি আমাদের ‘ওয়াস আউট’ ঘোষণা করেছিল। আমরা আন্তরিকভাবে দেশের কাজে লেগেছি।