Ongikar Jatra ‘মোহ আবরণ খোল রে মেয়ে, আগুন জ্বাল’-নারীর মর্যাদার অধিকারের দাবিতে অঙ্গীকার যাত্রায় Ongikar Jatra অংশ নিলেন আট থেকে আশি। স্কুল, কলেজের ছাত্রী, শিক্ষিকা থেকে গ্রামের কৃষক পরিবারের মা। হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে এসেছিলেন জুলেখা বিবি। তিনি শিলিগুড়িতে এই যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন। বললেন, মেয়েদের অধিকারের জন্যে তিনি যোগ দেন। তাঁর বাড়িতে দুই ছেলের সঙ্গে দুই নাতনিও রয়েছে। শুক্রবার কোচবিহার থেকে কলকাতা-নারীর অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকার যাত্রা এসে থামল বহরমপুর শহরে। দুপুরে বহরমপুরে (Berhampore) টেক্সটাইল কলেজের মোড়ে ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’ অভ্যর্থনা কমিটি মুর্শিদাবাদের উদ্যোগে সমাবেশ হল। যে যাত্রা ঊনবিংশ শতকে নারী শিক্ষার সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যু দিন ৯ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছিল। শেষ হবে কলকাতায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলেজস্ট্রিটে।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad University: পুলিস অভিযোগ না নিলে কোথায় যাবেন? কী বলছেন বহরমপুরের আইসি?

Ongikar Jatra এদিন সমাবেশে বক্তব্যে, কবিতায়, গানে নারীর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করা হয়। আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন থেকে, ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ড তুলে ধরে নারীদের সুরক্ষার দাবিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশিষ্টরা। জুগাগ্নি নাট্যদল, বাচিক শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পীরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ছিলেন রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতির কর্ণধার খাদিজা বানো, লালগোলা গার্লস স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা অমিতা বিশ্বাস, আইনজীবী নারগিস তঞ্জিমা সহ বিশিষ্টরা।
Ongikar Jatra আহ্বায়ক কল্পনা দত্ত বলেন, সামগ্রিকভাবে নারীর মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এই অঙ্গীকার যাত্রা। সারা রাজ্যব্যাপী সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। এই গণ আন্দোলন একমাত্র পারে নারীর মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে।

Ongikar Jatra শিক্ষাবিদ মানসী রায় বলেন, কেন স্বাধীনতার এতো বছর পরেও মেয়েদের সুরক্ষার দাবি নিয়ে পদযাত্রা করতে হচ্ছে। কারণ মেয়েদের সুরক্ষা নেই। ডা. গৌরাঙ্গ প্রামাণিক অভয়ার বিচারের দাবি তোলেন।
এদিন টেক্সটাইল কলেজের সামনে রাস্তায় কয়েকশো মহিলা জড়ো হন। তাঁরা মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন।















