হিজল অঞ্চলের দক্ষিণপাড়া এলাকায় ময়ূরাক্ষী নদীর ঘাটে উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা নিষিদ্ধ। তাতে কী? দুষ্কৃতীরা কতোটা বেপরোয়া ফের তার এক উদাহরণ সামনে এল। সাধারণ গ্রামবাসী বাড়ির কাজের জন্যে সেই নদী থেকে এক বস্তা বালি আনতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ হারালেন। পিটিয়ে খুন করা হল বৃদ্ধকে। কান্দী থানার (Kandi PS) হিজল (Hijal) অঞ্চলের রানীপাড়া এলাকায় ময়ূরাক্ষী (Mayurakshi) নদীর ঘাটে রবিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। তারপরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, নদী থেকে বালি তোলা নিয়ে সক্রিয় একটি চক্র। ভাইকে মারধর করায় সেখানে গেলে তাদের চোখের বালি হন গোলাম শেখ (৭০)। সেই চক্রের সদস্যদের রোষের শিকার হলেন তিনি। মারধরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি মৃতের পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ Kandi SD Hospital: কান্দী হাসপাতালে নার্স নিগ্রহে গ্রেপ্তার চার, ‘নিরাপত্তাহীনতা’

Kandi hijal Incident: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মাজাত আলী নামে এক ব্যক্তি বাড়ির কাজের জন্যে এক বস্তা বালি আনতে গিয়েছিলেন নদী থেকে। অভিযোগ সেই সময় ‘দুষ্কৃতীরা’ জায়গার রাস্তা দিয়ে গিয়ে তাঁকে বালি তুলতে বাধা দেয়। তর্ক-বিতর্কের জেরে শুরু হয় ধস্তাধস্তি ও মারধর। ভাইকে বেধড়ক মারার ঘটনায় গোলাম শেখ ঘটনাস্থলে যান। ভাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও উল্টে তিনি নিজেই আক্রমণের শিকার হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা। কান্দি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। মৃতের ভাই জুম্বার সেখ বলেন, আমরা শাস্তি চাই।

Kandi hijal Incident: মৃতের ভাইপো রশিদ সেখ বলেন, ওরা বালি তুলে বিক্রি করে। এক বস্তা বালি আনার জন্যে আমার ছোট কাকাকে (ছোট আব্বা) রাস্তা ঘেরে। রাস্তা কেন ঘিরেছো জিজ্ঞাসা করায় ওরা ছোট কাকাকে চোখে মারে। ছোট কাকা বড় জেঠুকে ডেকে নিয়ে যান। ওরা বড় জেঠুকে মারধর করে। ওখানেই মৃত্যু হয় বড় জেঠুর। ওদের জায়গা দিয়ে রাস্তা আছে। ওই রাস্তা দিয়ে আমাদের হাঁটতে দেবে না। মৃতের বোন হালিজা বিবি বলেন, আমি মারপিট দেখেছি। ভাইকে মারার জন্যে দাদা গিয়েছিলেন। দাদাকে মারার পরে অজ্ঞান হয়ে যায়। মাথায় জল ঢালা হয়। তুলে নিয়ে এলাম। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ওখানে বালি ৫০ টাকা বস্তা বিক্রি করা হয়। তবে এই বিষয়ে এই প্রতিবেদন আপলোড করা পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোনও বক্তব্য জানা জায়নি।
 
					 
			