Nowda TMC শুক্রবার সকালে সদর দরজা খুলতেই গায়ে কাঁটা দেওয়ার উপক্রম। পড়ে আছে হুমকি পোস্টার! প্যাকেটের ভেতরে রাখা সাদা থান, ধুপকাঠি সহ অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সামগ্রী! লাল রঙ দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতার ছবি, ভয়ঙ্কর এই কাণ্ড দেখে আতঙ্ক ছড়াল মুর্শিদাবাদের নওদার গঙ্গাধারী এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা নওদার মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনিরুল সেখের বাড়ির সামনে ঘটেছে এই কাণ্ড।
সিমেন্টের ব্যবসা করেন মনিরুল। মা, বাবাও দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। এই ঘটনার পেছনে কি তাহলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র! নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ!
Nowda TMC কী বললেন তৃণমূল নেতা?
পঞ্চায়েত সদস্য মনিরুল সেখ বলেন, ” পুরনো বাড়িতে মা, বাবা, ভাই থাকে। আমি ৫০০ মিটার দূরে থাকি। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে পুরনো বাড়ির সামনে ছবি , পোস্টার- কাফন সহ গুলি, বিভিন্ন ছবি রেখে যায়। আমি সিমেন্টের দোকানে থাকি। হঠাৎ এরকম কেন ঘটল বুঝতে পারছিনা। আগে কংগ্রেস করতাম এখন তৃণমূল করি। রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশকে বলেছি, পুলিশ তদন্ত করবে। এখানে কংগ্রেস আর তৃণমূলই আছে। এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও নেই। কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই।”
Nowda TMC ইতিমধ্যেই ব্লক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতা। যদিও আতঙ্ক কাটছেন না পরিবারের। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মনিরুল সেখের মা পারভিনা বিবি। পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন। তিনি বলেন, ” সকালে উঠেই দেখি এসব কাণ্ড। ছেলের ছবি রাখা, চিঠি, গুলি পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হই। কে বা কারা কেন এই কাজ করল! বিচার চাই।”
Nowda TMC কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মনিরুলের বাবা আব্দুল খালেক সেখ। বলেন, ” রাজনীতি করি। রাজনৈতিক ফয়দা নিতেই এই ভয় দেখানো হচ্ছে। বিরোধীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।” ইতিমধ্যেই নওদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পড়ে থাকা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। তদন্ত শুরু হয়েছে।
Nowda TMC এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে।
Nowda TMC বিরোধীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে তৃণমূল। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করছে বিরোধীরা। যে বা যারা এই ধরনের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ নিশ্চিত ভাবে দমন করবে।”
Nowda TMC যদিও তৃণমূলের নিশানাকে পাত্তা না দিয়ে পাল্টা অন্তঃদ্বন্দ্বের দাবী কংগ্রেসের। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ” যেখানে বিরোধী বলে কিছু নেই! সেখানে নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ গোলযোগ আরও বাড়বে। সব জায়গায় লড়াই। লড়াই করতে করতেই যদু বংশ ধ্বংস হবে”।