Nowda News রাস্তা আর রাস্তা নেই। ঠিক যেন মরণফাঁদ। দিন কয়েকের বৃষ্টিতে মাটির রাস্তা কাদা মাটিতে ভরেছে। দুর্বিষহ অবস্থায় যাতায়াত করাই মুশকিল গ্রামবাসীদের। স্কুলে যেতে সমস্যা পড়ুয়াদের। জরুরি কাজে বাইকে বা সাইকেলে করে যাওয়াও দুষ্কর। এই অবস্থায় পাকা রাস্তার দাবিতে জল কাদায় ভরা রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে অভিনব প্রতিবাদ মুর্শিদাবাদের নওদার গঙ্গাধারীতে। প্রায় ১ কিমি রাস্তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আজ অতিষ্ঠ। বুধবার গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভে সামিল হলেন। গঙ্গাধারী গ্রামের বাসিন্দা আর্জুমা বিবি জানান, ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না, স্বামী কাজে যেতে পারছেন না। অসুস্থ রোগীদের ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। গাড়ি চলছে না। এই অবস্থায় বাস করাই মুশকিল। ইট ভাটার গাড়ি যাতায়াত করে। রাস্তার হাল আরও বেহাল হচ্ছে। রাস্তা চেয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ চলছে।
Nowda News মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাধারী ভিটেপাড়া থেকে দাস পাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিমি এলাকায় মাটির রাস্তা। এই এলাকায় কয়েকশো পরিবারের বসবাস। রয়েছে আইসিডিএস সেন্টার থেকে প্রাথমিক স্কুল ও বেসরকারি স্কুল। কাদা জলে রাস্তা দিয়ে চলাচলই দায়, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। অবিলম্বে এলাকায় পাকা রাস্তা চাইছেন এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের দাবী ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি মিলেছিল তবে রাস্তা এখনও হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবী রাস্তার জন্য জেলায় আবেদন জানান হয়েছে। তবে বর্তমানে রাস্তা চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পঞ্চায়েত।
Nowda News রাস্তা নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নেহেরজান বিবি। তিনি জানান, এত বড় রাস্তা পঞ্চায়েত থেকে ঠিক করা সম্ভব না। পাঁচ- ছ মাস আগেই জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ধৈর্য ধরার কথা বলছেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সদস্য তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ও নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ। তিনি জানান, গঙ্গাধারি, দাস পাড়ার মাঝে কিছুটা গ্যাপ আছে। আগেও রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। ভাটা আছে, ট্রাক্টর চলে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা হচ্ছে। পাকাপাকি ব্যবস্থার জন্য জেলাকেও জানানো হয়েছে। বর্ষার সময় গ্রামাঞ্চলে প্রচুর কাজ, মেরামতির কাজ হচ্ছে।