কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কিরিটেশ্বরী মন্দিরের মূল চূড়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। মন্দিরের গা বেঁয়ে চুইয়ে পড়ছে জল। সেই জল পড়ছে মন্দিরের ভেতরেই। প্রতিদিনই বহু পর্যটক এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। তবে মন্দিরে জল পড়ায় তাতে ব্যাঘাত ঘটছে। মন্দির কমিটির সদস্যদের দাবি অর্থের অভাবে সংস্কার করা যাচ্ছে না মন্দিরের। প্রশাসনিক ভাবে মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষনে সহায়তার দাবি জানাচ্ছেন মন্দির কমিটির সদস্যরা।
ভাগীরথীর পশ্চিম পারে মন্দির অধ্যুষিত গ্রাম কিরীটেশ্বরী। যদিও গ্রামের নাম কিরীটকণা। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দক্ষযজ্ঞে সতীর মুকুট এই গ্রামে পতিত হয়েছে। তাই অনেকের কাছে ‘মুকুটেশ্বরী’ গ্রাম নামেও পরিচিত। যদিও এই স্থান শাক্ত সাধনার জায়গা। প্রাচীন মহাপীঠ নামেও বেশ জাগ্রত। কিরীটেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে নানা মত প্রচলিত রয়েছে। শোনা যায়, ১১০৪ বঙ্গাব্দে নাটোরের রানি ভবানী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে মহারাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ রাই এই মন্দিরের সংস্কার করেন।
দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ৭৯৫টি আবেদনের মধ্যে ২০২৩ সালের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী। ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর স্বীকৃতি পাওয়ার পর হয়তো হাল ফিরবে কিরীটেশ্বরী মন্দির ও গ্রামের- আশা করেছিলেন গ্রামের মানুষ।