মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্ক, ৬ নভেম্বরঃ বেলডাঙা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইউএপিএ ধারা যুক্ত হওয়ায় পর বেলডাঙায় ফের বিস্ফোরণ কান্ডের তদন্তে এলেন এনআইএ। সোমবার রামেশ্বরপুর গ্রামে তিনটি বাড়িতে হানা দেন এনআইএ আধিকারিকেরা। তিনটি দল তিনজনের বাড়িতে হানা দেয়। এদিন ব্যাগে করে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায় এনআইএ আধিকারিকদের। গত ২০২২ এর ১৭ জানুয়ারি রাত ৯টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। বিস্ফোরণে মৃত্যুও হয় ছাদি শেখ নামে একজনকের। সেই সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই ভাঙা ঘর থেকে ৭৪টি সকেট বোমা এবং বোমা তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল। সে বছরই কোর্টের নির্দেশে বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।
১০ ই অক্টোবর ২০২২ এ তদন্তভার নেওয়ার পর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি বিস্ফোরণে যিনি মারা যান, সেই ছাদি শেখের বাড়িতেও যান এনআইএ’র দুই তদন্তকারী। এবং ২০২৩ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর বেলডাঙায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেশন অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্টেরর ভিত্তিতে জানা যায়, পাইপ বোমা জাতীয় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। বোমায় যে ধরনের সরঞ্জাম ও লোহার টুকরো যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা সেনার ব্যবহৃত গ্রেনেডের সমতুল্য। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বিশেষ আদালতে তাঁদের জামিন খারিজের আবেদন জানিয়েছে এনআইএ। সোমবার সকালে বেলডাঙার রামেশ্বর পুরে মানসূর শেখ, সুকচাদ শেখ ও তাহাবুল শেখের বাড়িতে যান এনআইএ আধিকারিকেরা। তল্লাশি চালান তাদের বাড়িগুলিতে।