ঋত্বিক দেবনাথ, বহরমপুরঃ কৃষি নির্ভর জেলা মুর্শিদাবাদ। তবে জেলায় চাষাবাদে পরেছে ভাটা। কাজের টানে নিজের মাটি ছেড়ে পারি দিতে হয় ভিনরাজ্যে এমনকি ভিন দেশেও। এখান থেকে বহু শ্রমিক, কেউ রাজমিস্ত্রির কাজে কেউ বা কাঠের কাজ বা ইলেকট্রিকের কাজ সহ নানান কাজে দেশ ছাড়েন। খাতায় কলমে তাঁদের নাম হয় পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন দেশে কাজে গিয়ে নানান সমস্যার মুখে পরতে হয় তাঁদের।
এবারে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, শুরু হল পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল পোর্টাল ও অ্যাপ। এই পোর্টাল ও কর্মসাথী নামের অ্যাপের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকরা অনেক রকমের সুবিধা উপলব্ধ করতে পারবে।
যদি কোন পরিযায়ী শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে তাহলে তাঁর পরিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ৫০ হাজার টাকা পাবেন এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে পাবে ২ লক্ষ করে টাকা। এছাড়াও দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতার ক্ষেত্রে পাবে ১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে আপাদকালীন পরিস্থিতিতে জরুরী সহায়তা। পোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের অসুবিধার কথা ফোনেই রেকর্ড করে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া যাবে কাছের মানুষকে। কর্মবিয়োগ কিংবা মজুরি সংক্রান্ত যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। বাইরে গিয়ে দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হলে সেই শ্রমিকেরে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য নমিনিকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং সৎকারের জন্য পাবে ৩ হাজার টাকা।
এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হবেন ভিন রাজ্যে ও দেশে কাজ করা পরিযায়ী শ্রমিকেরা এবং তাঁদের পরিবারেরা। আগের মতো আর চিন্তায় দিন গুজরান করতে হবেনা পরিবারকে। শ্রমিকদের আর ভাবতে হবেনা যে, কীভাবে তাঁরা তাদের সমস্যার কথা পৌঁছে দেবেন পরিবার এবং সরকারের কাছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের, এই উদ্যোগে লাভবান হবেন মুর্শিদাবাদ তথা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা। মুর্শিদাবাদ জেলার ডেপুটি লেবার কমিশনার বিতান দে জানান, এই স্কীমে রেজিস্ট্রেশন করলে ভিনরাজ্যে গিয়ে বিপদে পড়লে সেই সব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে পারবে সরকার।