National Reading Day ১৯ জুন দিনটি ভারতে তার বার্ষিক জাতীয় পঠন দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। দেশের নাগরিকদের মধ্যে পড়ার প্রতি ভালবাসার প্রচারের জন্যই এই দিন । প্রতি বছর ১৯ জুন অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি পিএন পানিক্করের P N Panicker এর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ করে। পানিক্কর ছিলেন কেরালার Kerala লাইব্রেরি আন্দোলনের জনক। দেশের সাক্ষরতা এবং পড়ার অভ্যাসের প্রচারে পানিক্করের উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রয়েছে।
বলা হয় সুপঠিত জনগণ একটি প্রগতিশীল সমাজের ভিত্তি। বই পড়ায় বাড়ে সামাজিক বোধ। পঠন নতুন জগতের দরজা খুলে দেয় । সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বাড়ায় এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতি বাড়ায়। জাতীয় পঠন দিবস পাঠের রূপান্তরকারী শক্তির কথা মনে করায় । এটি নাগরিকদের তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিতে, একটি বই তুলতে এবং পড়ার আনন্দে নিজেকে নিমজ্জিত করতে উত্সাহিত করে।
কিন্তু কী লাভ হয় বই পড়ে ?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বই হল জ্ঞানের এক অমূল্য ভান্ডার। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করতে পারি। বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন—প্রতিটি ক্ষেত্রেই বই আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক। একটি ভালো বই শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করে না, বরং তা পাঠককে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
বই পড়া ভাষা শেখার একটি অন্যতম কার্যকর মাধ্যম। নিয়মিত বই পড়ার ফলে শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায়, বাক্য গঠনের কৌশল শিখা যায় এবং লেখার দক্ষতা উন্নত হয়। এছাড়াও, এটি আমাদের যোগাযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্পষ্ট ও প্রাঞ্জলভাবে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য পড়ার অভ্যাস প্রয়োজন । তাই জাতীয় পঠন দিবসে আলোচনায় উঠে আসছে, ডিজিটাল যুগের চাপের মাঝেও বই পড়ার অভ্যাস ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি।