National Jute Day Celebration পাট শিল্পের উন্নতিতে পথ দেখাবে Murshidabad, আকর্ষণ বাড়াতে নতুন কী?

Published By: Imagine Desk | Published On:

National Jute Day Celebration পাট দিয়েই বিশ্বের দরবারে নতুন জায়গা করবে মুর্শিদাবাদ। পথ দেখাবে ভিন জেলা, ভিন রাজ্যকে। এই অঙ্গীকারে পাট শিল্পকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখছে পাট চাষ সমৃদ্ধ মুর্শিদাবাদ। বিশেষ জোর পাট চাষিদের উন্নতিতে। পাট Jute, মুর্শিদাবাদ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে  সব থেকে বেশি পাট চাষ হয় মুর্শিদাবাদ জেলাতেই। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ চাষি এই চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকেন। পাট চাষ, পাট শিল্পকে আরও উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ন্যাশনাল জুট বোর্ড মুর্শিদাবাদ জেলাকেই বেছে নিয়েছে। ২৯ শে জুলাই, National Jute Day পাট দিবস উদযাপনের মাধ্যমে। লালবাগ জেসিআই ডিপিসি তে পাট দিবস উদযাপন হয় মহা সমারোহে।  উপস্থিত ছিলেন এনজেবি সেক্রেটারি ও JCI ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশী ভূষণ সিংহ , জুট কমিশনার, মলয় চন্দন চক্রবর্তী, জেসিআই জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ কুমার মজুমদার , জুট বোর্ড, জে সি আই এর কর্তা ব্যক্তি, লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।  হয় সাংবাদিক বৈঠক।

 

National Jute Day Celebration পাট দিবস উদযাপনে নতুন কী ভাবনা জুট বোর্ডের?

National Jute Day Celebration চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বৈচিত্র্যকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ভাবে।  পাটের উৎপাদন, দাম নিয়ে চিন্তায় থাকেন পাট চাষিরা। পাট পচানোর ক্ষেত্রে জলের ঘাটতিও দেখা যায় অনেকসময়। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহযোগিতার কথাই বলেন এনজেবি সেক্রেটারি ও JCI ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশী ভূষণ সিংহ। তিনি বলেন, ‘পাট চাষের ক্ষেত্রে পাটের মান এবং বৃদ্ধির জন্য সেচ এবং জল অত্যন্ত জরুরী। পাট উৎপাদনের ৮০% মুর্শিদাবাদ জেলাতেই হয়। আশাবাদী যে মুর্শিদাবাদের কৃষক বন্ধুদের জন্য রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই এই বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। সেচ, জলের সমস্যার ক্ষেত্রে আমরাও রাজ্য সরকারের সাথে মিলে কাজ করার ক্ষেত্রে আশাবাদী।’

National Jute Day Celebration পাটের বৈচিত্র্যকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে

National Jute Day Celebration এনজেবি সেক্রেটারি ও JCI ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশী ভূষণ সিংহ বলেন, পাটের বৈচিত্র্যকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে পাটের দ্রব্যের মান বেড়ে সেই মূল্য কৃষকদের কাছেও পৌঁছায়, কৃষকদের লাভ হয়। এই সম্বন্ধে ন্যাশনাল জুট বোর্ড গবেষণা ও উন্নয়নে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কাজ করছে। পাট গাছ থেকে ইথানল বানানো হচ্ছে, যা ল্যাব স্কেলে আছে। যদি এই গবেষণার পরে বাজার এবং বাণিজ্যিকীকরণ হয় তাহলে অত্যন্ত বড় পদক্ষেপ হবে পাট শিল্পে। এছাড়াও পাটের ফাইবার ও ফেব্রিক থেকে অটো মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতেও বিভিন্ন রকমের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এর কাজ হচ্ছে। স্টিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে ঘরের অন্দরসজ্জায় পাটের কার্পেট, রাগ, ম্যাটের চাহিদা বাড়ছে। আই আই টি ভুবনেশ্বর , আই আই টি গুয়াহাটি, আই আই এস সি ব্যাঙ্গালোরে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে যাতে প্রমাণ করা যায় যে পাটের ফেব্রিক এবং ফাইবারকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য ব্যবহার করা যায়। ভারত সরকারের এটাই উদ্দ্যেশ্য যে পাট এর বাজার বাড়ে, কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।

National Jute Day Celebration পাট দিবস উদাপনের লক্ষ্য কী?

National Jute Day Celebration জুট কমিশনার, মলয় চন্দন চক্রবর্তী বলেন, মুর্শিদাবাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে পাট চাষের জন্য সমৃদ্ধ জেলা। সেই জন্যই এই জেলা থেকে পাট দিবস এর সূচনা হল ন্যাশনাল জুট বোর্ড, জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, জুট কমিশনের উদ্যোগে। চাষি ভাইরা কীভাবে আরও লাভবান হবেন, কীভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন ? তার জন্য এই দিবস পালন। মুর্শিদাবাদ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত, পাটের জন্যও বিখ্যাত। আশা করব, সবার সহযোগিতায় এই জেলাতে পাটকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারব।

National Jute Day Celebration জেসিআই জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ কুমার মজুমদার জানান, ভারতের পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে পাট উৎপাদন ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। রাজ্যের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলাতেই পাট উৎপাদন হয় ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ, কিছুটা নদীয়া জেলাতে। মুর্শিদাবাদ খুব বড় জায়গা। এখান থেকেই পাট দিবসের শুরু হল। স্পেশাল ফোকাস থাকবে মুর্শিদাবাদের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গায় যাবতীয় উন্নতমানের কর্মকাণ্ডের পদ্ধতি পোঁছানোর চেষ্টা করব।

National Jute Day Celebration লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলী জানান, অত্যন্ত গর্বের যে ন্যাশনাল জুট বোর্ড তাদের জুট বা পাট দিবস উদযাপনের জন্য মুর্শিদাবাদ জেলাকে বেছে নিয়েছে। রাজ্যে চায়ের জন্য যে বোর্ড আছে তার জন্যে গর্ববোধ করি। ভারতবর্ষ ব্যাপী কফি বোর্ড, কোকোনাট বোর্ড, স্পাইস বোর্ড, এদের যে সক্রিয়তা দেখা যায় জুট বোর্ডের সেই সক্রিয়তা না দেখার জন্য উপলব্ধি ছিল না যে ভেতরে ভেতরে জুট বোর্ড কতটা উন্নয়ন বা অগ্রগতির কাজ করেছে। বিধায়ক আরও বলেন, ‘অতীতে লালগোলায় একটি পাট ক্রয় কেন্দ্র ছিল। যেটা এখন বন্ধ। সেটা চালুর জন্য জুট বোর্ডের রথি, মহারথীদের কাছে আবেদন করতে এসেই আলোচনায় দেখলাম পাট চাষের ক্ষেত্রে গবেষণামূলক অনেক উন্নতি হচ্ছে। জুট বোর্ড কাজ করছে। সাধারণ চাষির কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে খামতি থেকে গেছে। সেই খামতি যেন পূরণ হয় সেই আবেদন জানিয়েছে। পাটের উন্নতির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কখনোই অনীহা প্রকাশ করবে না, আগ্রহ প্রকাশ করুন তখন একসাথে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে যাব।’