Nabagram Road খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে ঝুঁকির যাতায়াত। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে উল্টে যায় পড়ুয়া বোঝাই টোটো। নিমেষের মধ্যে এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল এই কাণ্ড দেখে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তে ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শুরু হল রাস্তা সংস্কারের তৎপরতা। খানাখন্দে ভরা নবগ্রামের পলসন্ডা মোড়ের কাছে পলসণ্ডা-লালবাগ সদরঘাট রাস্তার জরাজীর্ণ দশায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
Nabagram Road বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি খানাখন্দে ভরা রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। জেসিবি দিয়ে রাস্তা খুঁড়ে ইট দিয়ে ভরাটের কাজ চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার হয় না। সামাজিক মাধ্যমে দুর্দশার ছবি তুলে ধরতেই ভিডিও করার সময়ে এলাকারই বাসিন্দা এক ক্যারাটে প্রশিক্ষকের ফোনে বন্দি হয় টোটো দুর্ঘটনার সেই মুহূর্ত। স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলী মল্লিক জানান, রাস্তার বেহাল দশার ভিডিও করার সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ক্যামেরাবন্দি হয় সেই মুহূর্ত। কেন রাস্তার সংস্কার হয় না! জানা নেই।
Nabagram Road জনবহুল রাস্তা যেন মরণফাঁদ। এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয় লালবাগ, কিরীটেশ্বরী থেকে রানী ভবানি মন্দির, খোশবাগ- বহু পর্যটন কেন্দ্রে। অসংখ্য গাড়ি চলে। তবুও কেন কোন তৎপরতা নজরে আসে না? প্রশ্ন স্থানীয়দের। কেন এত উদাসীনতা? কঙ্কালসার রাস্তা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজাও। তড়িঘড়ি রাস্তা সংস্কার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের। নবগ্রাম পূর্ব ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ যাদব বলেন, ‘ ইট দিয়ে মেরামতি চলছে। ঠিক যেন মরার উপরে আতর ছিটানোর মতো গল্প। এই রাস্তাকে সংস্কার করতে হবে। দুদিকে ড্রেনেজের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সমাধান হবে না। খুবই ব্যস্ততম রাস্তা। পলসণ্ডা থেকে লালবাগ রোজ যেতে হয়।’
Nabagram Road নবগ্রামের বিধায়ক কানাচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘ পূর্ত দপ্তরকে আজ থেকে দশ দিন আগে কলকাতা যাওয়ার রাস্তায় ডিএম এর সঙ্গে কথা বলে লিখিত মৌখিকই জানিয়েছি এবং তাদের নজরে আছে।’ বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ রাস্তা সারানো হচ্ছে না এটা ঠিক না। ভালো রাস্তাতেও দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি যখন অ্যাকসিডেন্ট করে উল্টে যায়, তখন খারাপ রাস্তা বলে উল্টে যাবে আর ভালো রাস্তা বলে উল্টায় না, এটা কোন কথা না। বরং খারাপ রাস্তা হলে গাড়ি সাবধানে যায়। না উল্টানোরই কথা। কিন্তু একটা টোটো যদি একটা তিন চাকার গাড়ি যেখানে তিন জন চারজনের বেশী প্যাসেঞ্জার নিয়ে যেতে পারে না। সেখানে যদি দশ জন প্যাসেঞ্জার চাপিয়ে সে গাড়িতে নিয়ে যায়, তাহলে গাড়িটা পালটি হয় ড্রাইভারের অসাবধানতার জন্য।