নিজস্ব প্রতিবেদনঃ মোন্থা ঘূর্ণি ঝড়ের বৃষ্টির পরে এই সপ্তাহে পারদ পতন হয়েছে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তাপমাত্রা নেমেছে ১৮-১৯ ডিগ্রিতে । এক সপ্তাহ পরেই অগ্রহায়ণ মাস। অঘ্রাণ মানেই গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে নতুন ধানের সুবাস। মাঠে বর্ষার স্বল্পকালীন আগাম ধান ইতিমধ্যে উঠে গিয়েছে। সেসব জমিতে আলু, সর্ষে সহ বিভিন্ন চাষ শুরু হয়েছে। তবে বেশীরভাগ জমি এখন পাকা সোনালী ধানে ভর্তি। ধান তোলার খামার তৈরির জন্যে ঘরের কাছে আগাছা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মাঠেও শুরু রবি শস্য চাষ (Agriculture)। প্রস্তুতিও চলছে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়ার (Weather) গতিপ্রকৃতি রবিশস্য চাষের অনুকূল। জানাচ্ছে জেলা কৃষি দফতর।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad Fishermen: অধিকার আদায়ে ঘরে ঘরে পৌঁছলেন মৎস্যজীবীরা
Murshidabad Robishosyo Chas এখন মাঠে ‘মিনি ডিপে’র সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। যার জেরে শীতকালে বা খরার সময়ও চাষ বাড়ছে। সোমবার কান্দি মহকুমায় কৃষকরা বলছিলেন, ধান তুলে তাই খরার ধান লাগানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গম লাগানোর উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। তাই অনেক কৃষক এখন গম লাগাতে চাইছেন। তবে তুলনায় লাভজনক হওয়ায় সব্জি চাষ এখন বাড়ছে। আলু লাগানো আগেই শুরু হয়েছে। আলুতে খরচ অনেক বেড়েছে, ফড়ের দাপটে মার খাচ্ছেন চাষি। তবু দাম পেলে লাভ হতে পারে ভেবে আলু লাগাতে চাইছেন কৃষকরা। এজন্যে ঋণ করেও আলু লাগাচ্ছেন।
ভরতপুর ১ ব্লকের কয়েকজন কৃষক বলছিলেন, আলুর সঙ্গে ওই জমিতে মূলো ও করলা চাষ করবেন। আলু উঠে যাওয়ার পর করলা তোলা যায়। এছাড়া পালং শাক, টোম্যাটো সহ অন্যান্য সব্জি চাষ শুরু হয়েছে। চাষীরা বলছিলেন, পোকার আক্রমণ ও কুয়াশার দাপট না থাকলে শীতের সব্জি মোটের উপর ‘কাঁচা টাকা’ দেয়।

Murshidabad Robishosyo Chas কয়েক বছর গম চাষ বন্ধ থাকায় আবার গম চাষ শুরু হয়েছে। এক কৃষক বলছিলেন, ১ বিঘেতে গম চাষ করতে ২০ কেজি গম বীজ লাগবে। তার জন্যে এবার প্রায় ১২০০ টাকা খরচ। সেচের জন্যে গড়ে ২০০০ টাকা খরচ। ২০০০ টাকার রাসায়নিক সার লাগবে। ভালো গম হলে বিঘে প্রতি ৩ কুইন্টাল গম হবে। কৃষি দফতরের মুর্শিদাবাদ জেলার উপ অধিকর্তা উৎপল মণ্ডল সোমবার বলেন, আশা করা হচ্ছে, এবার ভালো শীত পড়বে, ফলে এবার ভালো রবিশস্য চাষ হবে।










