Murshidabad Weather ঝলসানো গরমে বহরমপুরে হাঁসফাঁস !

Published By: Imagine Desk | Published On:

Murshidabad Weather – শুভরাজ সরকার ও প্রিয়াঙ্কা দেব বিশ্বাসঃ  ঝলসানো রোদ। খাঁ খাঁ করছে চারিদিক। রোদ থেকে বাঁচতে ভরসা ছাতা। আর তেষ্টা মেটাতে ঠাণ্ডা শরবতে গলা ভেজানো। কেউ আবার গাছের ছায়া খুঁজছেন। বিগত ক বছরে এমন গরম, যা নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। মে- মাসের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর। এখনই তাপমাত্রা পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। চাঁদিফাটা রোদ আর তাপের মধ্যে জীবন জীবিকা টিকিয়ে রাখাই দুষ্কর।

Murshidabad Weather টোটো চালক মনোজ মুখার্জি বলছেন,  “এই গরমে রাস্তায় টোটো চালানো খুব কষ্টের। মাথার উপর ছাউনি থাকলেও রোদের তাপ আটকানো যায় না। গাড়ি গরম হয়ে যাচ্ছে।  শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তবুও চালাতে হচ্ছে। পেটের দায় তো আর থেমে থাকে না।”

আরেক টোটো চালক দিবাকর হাজরার কথায়,  “আগে এত গরম পড়ত না, এখন সকালবেলা থেকেই গায়ে আগুন লাগে। যাত্রীও কমে গেছে। নির্মাণ শ্রমিক সফিক শেখের কথায়, ” অনেক বছর ধরেই কাজ করছি । যতো দিন যাচ্ছে গরমে কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেন এরকম যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না”।

বিগত কয়েক বছর ধরেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ভুক্তভোগী জনজীবন। ব্যহত হচ্ছে কাজকর্ম। প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনযাপনে।
তাপপ্রবাহে ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতিতেও। বিশ্বব্যাংকের World Bank  একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং Dr. Jitendra Singh লোকসভায় বলেছেন , ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে ভারত তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।

Murshidabad Weather এবছরও ব্যতিক্রম নয়, মে মাসের শুরুতেই একেবারেই অন্যরকম গরম। গরম এত বাড়ছে কেন? বিজ্ঞান কর্মী সুবর্ণা নাথ যদিও মানুষের বেড়ে চলা লোভ, অনিয়ন্ত্রির গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণকেই এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।  বর্তমানে চিন্তার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। যার প্রভাব স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, কৃষিকাজ, সামাজিক ও অর্থনীতি সর্ব ক্ষেত্রে। সচেতন না হলে বিপদ ঘোরতর।

Murshidabad Weather জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রভাব সর্বত্র। চিন্তা বাড়াচ্ছে হিট স্ট্রেস বা অতিরিক্ত গরমের কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধির মতো শারীরিক সমস্যা। হিট স্ট্রোকের ভয় থাকছে। তাপচাপ কিডনি, লিভার এবং মস্তিষ্ক সহ একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।

এই পরিস্থিতি সামনে আসছে নতুন প্রযুক্তিও। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান IIT রুরকি Heat Stress Risk Index Forecast system) তৈরি করেছে। তাপ ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে সক্ষম এই ব্যবস্থা । দেশের শ্রমজীবি মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে দাবি উঠছে তাপ স্বাস্থ্য সতর্কতা ( HHA) সিস্টেম-এর। বিশেজ্ঞদের মতে, নিতে হবে আগাম সতর্কতা। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। বাইরে বেরোলে রোদ থেকে বাঁচুন। পরিবেশ বাঁচাতেও নিতে হবে পদক্ষেপ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কম করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাকৃতিক শক্তির উৎসগুলির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।