মিঠুন মণ্ডলঃ দৌলতাবাদঃ ইচ্ছে হলেই গাছের পাতা ছিঁড়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশি বাজান। পাতা দিয়ে সুর তোলেন বাউল গান , শ্যামা সংগীত ও আধুনিক গানের। তিনি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের নয়মাইল এলাকার বাসিন্দা বিনয় কুমার মন্ডল । দৌলতাবাদ নিশীথ বরণী সিনহা হাইস্কুলে পার্শ্ব শিক্ষক । কখনও স্কুলে, কখনও বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা আবার কখনও বাড়িতে সময় পেলেই গাছের পাতা ছিড়ে বাঁশি বাজান । বিরল প্রতিভার এই মানুষটির জীবনে তেমন কিছু চাওয়া-পাওয়া না থাকলেও ইচ্ছা বড় কোন মঞ্চে এই পাতার বাঁশি বাজানো । বছর ৪৫ এর বিনয় কুমার মন্ডল প্রায় ২০ বছর ধরে বাঁশিতে সূর দিয়ে আসছেন, প্রথম প্রথম নিজে নিজেই সুর তোলার চেষ্টা করতেই। বাশের বাঁশিতেই হাতে খড়ি হলেও তিনি আর আটকে থাকতে চাননি। বিকল্প বাঁশি হিসাবে বেছে নেন পাতার বাঁশিকে। শুধু বাঁশিতে সুর দেওয়ায় নয় তাঁর সাথে সাথে নিজেও তৈরি করতে পারেন আর বাঁশি। সেই বাঁশিতেই এখন সুর দেন বিনয় বাবু। ২০০৬ সালে স্কুলে পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর স্কুলেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসতে আসতে তাঁর প্রতিভার বহিঃ প্রকাশ ঘটে। এর পর স্কুলের যে কোন অনুষ্ঠানে বিনয় বাবুর বাঁশির সুর ছাড়া জমে না। শুধু স্কুলের গন্ডি নয় এখন স্কুলের গন্ডির বাইরেও বাঁশি বাজানোর ডাক পান বাশিওয়ালা।
দৌলতাবাদ নিশীথ বরণী সিনহা হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক বৈশম্পায়ন ব্যানার্জিও চান, বিনয়ের প্রতিভা যোগ্য সম্মান পাক।
স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সংসার বিনয় বাবুর, শুধু বাঁশিতেই থেমে থাকতে চাননি। লকডাউনে অবসয় সময়ে বাঁশির পাশাপাশি দোতারাতেও তালিম দিচ্ছেন দৌলতাবাদের নয়মাইল এলাকার বিনয় কুমার মন্ডল।