Murshidabad silk মুর্শিদাবাদের গৌরব ‘মুর্শিদাবাদ সিল্ক’.। এবার সেই মুর্শিদাবাদ সিল্কের জিআই-এর জন্য সংসদে সরব হলেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান PATHAN YUSUF । এদিন সংসদে বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান বলেন, ” মুর্শিদাবাদের বুনন শিল্প প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সমৃদ্ধ হয়ে এসেছে। এই শিল্পের জেলার সাথে একটি বিশেষ সম্পর্ক ও ঐতিহ্য রয়েছে” ।
Murshidabad silk ৩০ কোটির ব্যবসা, দাবি পাঠানের
তিনি আরও বলেন, ” বহরমপুর, ডোমকল, রানিনগর, জিয়াগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯৯টি প্রতিষ্ঠান এই বুনন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। মুর্শিদাবাদ সিল্ক ফ্যাব্রিক শিল্পের বার্ষিক ব্যবসা প্রায় ৩০ কোটি টাকার । মুর্শিদাবাদ সিল্ক থানকে GI ট্যাগ প্রদান করলে এর প্রকৃত পরিচয় সংরক্ষিত হবে এবং ভারতের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে” ।
Murshidabad silk আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদের মির্জাপুর সাজছে নজর কাড়া কপার জরি, স্বর্ণচরি, বালুচরি নিয়ে
পাঠান আবেদন জানিয়েছেন যাতে দ্রুত জিআই ট্যাগ দেওয়ার বিষয়টি করা হয়। তিনি বলেছেন, “মুর্শিদাবাদ সিল্ক ফ্যাব্রিকের GI রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই”।
অধ্যাপক সৌমেন্দ্রকুমার গুপ্ত লিখছেন, “ মুর্শিদাবাদ নামাঙ্কিত শহরটির পত্তনেরও প্রায় দু’হাজার বছর পূর্ব থেকেই এই অঞ্চলের রেশম ও রেশমি বস্ত্রের সুখ্যাতি দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল”।
মুর্শিদাবাদ জেলাঞ্চলে যে এক ধরণের রেশমি বস্ত্রশিল্প বিদ্যমান ছিল তা নাকি প্রথম জানা যায় কৌটিল্যের ‘ অর্থশাস্ত্র’ বইটির কিছু টীকা থেকে। বোঝা যায় মুর্শিদাবাদ জেলাঞ্চলে রেশম শিল্পের উদ্ভব ঘটেছিল খ্রিস্টপূর্ববর্তী সপ্তম শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ববর্তী তৃতীয় শতকের মধ্যবর্তী কোনও সময়ে। মোঘল আমলে মুর্শিদাবাদ সিল্কের নিজস্ব পরিচয় গড়ে ওঠে।

সিল্কের ব্যবসা ঘিরেই জেলায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল ওলন্দাজদের কুঠি। ব্যবসায়কে অন্যমাত্রা দেন ইংরেজ, ডাচ বণিকরা। রেশম পৌঁছায় ইউরোপেও। মুর্শিদাবাদ একদিকে ছিল সুবে বাংলার রাজধানী, অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ-কাশিমবাজার অঞ্চল কাঁচা রেশম ও রেশমিবস্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎপাদন ও বাণিজ্যকেন্দ্র। ইতিহাসের অসুসন্ধানীরা জানান , সুদূর অতীত থেকে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতেও মুর্শিদাবাদ রেশম শিল্প ও ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। মুর্শিদাবাদ সিল্ক সেই সময় থেকেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। জিআই পেলে সিল্কের ব্যবসা বৃদ্ধি পাবেই বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে রেশম চাষীরা।














