Murshidabad Result মুর্শিদাবাদ জেলার ৩ লোকসভা আসনেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণবঙ্গ, মধ্যবঙ্গের তৃণমূলে ঝড়ের শুরু মুর্শিদাদের জঙ্গিপুর লোকসভা আসন থেকেই।
জঙ্গিপুরে জিতেছেন তৃণমূলের খলিলুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি কংগ্রেসের মোর্তুজা হোসেন বকুলকে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৩৭ ভোটে হারিয়েছেন খলিলুর। বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে খলিলুরের ব্যবধান ছিল ২ লক্ষ ৩ হাজার ৬১৩ ভোট।
বহরমপুরে ইন্দ্রপতন হয়েছে তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের হাতে। বিদায়ী সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ৮৫ হাজার ২২ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে বিজেপির ডাক্তার নির্মল সাহার ভোটের ব্যবধান ছিল ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৩১। ১৯৯৬ সাল থেকে ভোট রাজনীতিতে অপরাজেয় অধীর দেখলেন হারের মুখ।
১৯৯১ নবগ্রাম বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়েন অধীর চৌধুরী। সেবার পরাজিত হন তিনি।
তবে ১৯৯৬ সালে ওই আসন থেকেই জিতে বিধায়ক হন অধীর। তবে বেশিদিন বিধায়ক থাকতে হয় নি অধীরকে।
১৯৯৯ সালে বহরমপুর লোকসভা আসনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন অধীর চৌধুরী। হারান আরএসপি -র প্রমথেশ মুখার্জিকে। জিতে হন সাংসদ। সেই শুরু। তারপর টানা ৫ বার জিতেছেন অধীর। হয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। দায়িত্ব পেয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। ২০১৯’এর মতো কঠিন ভোটেও গড় দখলে রেখেছিলেন অধীর। তবে শেষ রক্ষা হল না ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে।
তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত কংগ্রেসের সেনাপতি। বহরমপুরের রাজনৈতিতে যা কার্যত ইন্দ্রপতন।
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের হেরেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এই কেন্দ্রে সেলিমকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ২১৫ ভোটে হারিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান। বিজেপি’র গৌরী শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে আবু তাহেরের ভোটের ফারাক ছিল ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৪১১। এর ফলে মুর্শিদাবাদে লোকসভাতেও এবার তিনে তিন।
ভোট হয়েছিল ভগবানগোলা বিধানসভা আসনেও। সেই আসনও ধরে রেখেছে তৃণমূল। ১৫ হাজার ৬১৭ ভোটে কংগ্রেসের আনজু বেগমকে হারিয়েছেন তৃণমূলের রিয়াদ হোসেন সরকার।