Murshidabad Ram Mandir গতবছর ২২শে জানুয়ারি মহাসমারোহে অযোদ্ধায় রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হয়। তার ঠিক এক বছরের মাথায়, বুধবার, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে হয়ে গেল রাম-মন্দিরের ভূমিপুজো। সাগরদিঘির অলংকার গ্রামে ২ বিঘা জমির ওপর তৈরি হচ্ছে রাম-মন্দির। বঙ্গীয় রাম সেবক পরিষদ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল ২২ শে জানুয়ারী মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের শিলান্যাস করা হবে। সেই মতো বুধবার সকাল থেকেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস ঘিরে সাজ সাজ রব শুরু হয় অলঙ্কার গ্রামে। সাগরদিঘির বারালা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত অলঙ্কার গ্রামে এদিন ভূমিপুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হল মন্দির নির্মানের কাজ। এদিন সকাল থেকেই নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রামলালাল মন্দিরের ভূমিপুজো চলে। এলাকার বাসিন্দারা অংশ নেন পুজোয়।
Murshidabad Ram Mandir ভূমিপুজো ও শিলান্যাস উৎসব প্রসঙ্গে বঙ্গীয় রাম সেবক পরিষদ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অধ্যক্ষ অম্বিকা নন্দ মহারাজ বলেন, ” একজন এক্স আর্মি প্রশান্ত মণ্ডল। তিনি জমি দান করেছেন। সুন্দর ভব্য মন্দির নির্মাণের কাজ আজ থেকে শুরু হল। মন্দিরের সাথেই নানান সামাজিক কাজকর্ম হবে। রাস্তা ঘাট থেকে পানীয় জল, আলো- এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে মন্দির নির্মাণের সাথেই। বিদ্যালয়, ছাত্রাবাসও তৈরি হবে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। ” তিনি আরও বলেন, ” যেমন যেমন অর্থ সাহায্য পাওয়া যাবে সেভাবেই মন্দির নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাবে।”
Murshidabad Ram Mandir কেন সাগরদিঘির এই প্রত্যন্ত গ্রামকেই বেছে নেওয়া হল? যে প্রসঙ্গে অম্বিকা নন্দ মহারাজ বলেন, ” প্রত্যন্ত অঞ্চলেই মানুষের জীবনযাত্রার মান পিছিয়ে থাকে। একটা মন্দির যদি পারে এলাকার উন্নয়ন করতে, জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিতে, সেখানেই মন্দির হওয়া দরকার। মন্দির শুধুমাত্র উপাসনাস্থল বা পুজার্চনার জায়গা নয়!”