পবিত্র ত্রিবেদীঃ গত দশ বছরে বর্ষায় এরকম খরা হয়নি। ভরা বরষার মরশুমে চাঁদিফাটা রোদ্দুরে মাঠে মারা যাচ্ছে ধানের বীজতলা। পাট পচাতে না পেরে মাথায় হাত কৃষকদের। এই পরিস্থিতে চাষের জন্যে জরুরি ভিত্তিতে নলকূপ সেচের সংখ্যা বাড়ানো হছে। জরুরি ভিত্তিতে শ্যালওটিউবওয়েলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিল মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি দপ্তর। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ৪০টিরও বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে কয়েক দিনের মধ্যে হরিহরপারা ব্লকে তা করা হয়েছ বলে কৃষি দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী , ২০১৩ সালে জুলাই মাসে এই জেলায় বৃষ্টি হয়েছিল ৯৬ মিলিমিটার। এবছর এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার। অথচ এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কথা ৩০৯ মিলিমিটার। ঘাটতি প্রায় ৮৮ শতাংশ। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বৃহস্পতিবার বলেন, ইতিমধ্যে পাট পচানোর জন্যে জীবাণুর সরবরাহ করা হয়েছে । কৃষককে নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে। বৃষ্টি কম হচ্ছে । এখন প্রযুক্তি ছাড়া চাষ সম্ভব নয়। ব্লকের কৃষি দফতরে কৃষকদের যোগাযোগ রাখতে হবে । শুধু পুরনো প্রযুক্তিতে ভরসা করলে হবে না। যাদের শ্যালো টিউবওয়েল আছে তারা চাইলে তাদের জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলা হয়েছে।
কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আমরা বলছি, কম জলে চাষ হয় এরকম ফসল লাগাতে। কিন্তু, খারিফ মরশুমে এখানে ধানের বিকল্প নেই। তাই আমরা বলছি, কম সময়ের চাষের ধানের বীজ চাষ করতে। রশি, খিতিসের মতো ধান চাষ করা যেতে পারে। সরকারি যেসব সেচ ব্যাবস্থা আছে সেগুলো ভালভাবে চালু রাখতে বলা হয়েছে। ধানের বীজতলাতে সমস্যা হচ্ছে । ১ লক্ষ ১৬ হাজার হেক্টর জমির পাট চাষ হয় এখানে। তার মধ্যে বহরমপুর সদরে ৭০ হাজার হেক্টর ও লালবাগে ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। পাট পচানোর জন্যে ও পাটের ফাইবার যতে ভালো হয় সেজন্যে ২৯ মেট্রিক টন প্রসেসড জীবাণূ ইতিমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।