Murshidabad প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে দেখেই ক্ষোভ জাফরাবাদের নিহতের পরিবারের

Published By: Imagine Desk | Published On:

Murshidabad  অশান্তির বাতাবরণে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। খুন হন বাবা ও ছেলে। জাফরাবাদের নিহতের পরিবার এখনও শোকে কাতর। এরই মাঝে শনিবার সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই গ্রামে নিহত বাবা ও ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, মালদা দক্ষিনের সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী ও অন্যান্য  কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু এখানেই বাঁধে গণ্ডগোল। কংগ্রেস নেতৃত্ব নিহতদের বাড়িতে যেতেই তাঁদের সাথে কথা বলতে আপত্তি জানান আত্মীয়রা। সাংসদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? ‘কিছু হয় নি! চলে যান’- এভাবেই মুখ ফেরান দাস পরিবারের সদস্যরা। রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন। সবটাই শোনেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। সব নিয়েই কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন। একই সাথে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বেশ কিছুক্ষন পর কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন নিহতদের বাড়ির লোকজন। এরপরেই বাড়ির দাওয়ায় বসে কংগ্রেস নেতৃত্ব নিহতদের বাড়ির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। শোনেন সেদিনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।

Murshidabad কী বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি?

Murshidabad নিহতদের পরিবারের ক্ষোভ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘ অত্যন্ত মর্মাহত। ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বুঝিয়ে বলার পর উপলব্ধি করেছেন তারা।’ পাশাপাশি এই অশান্তির পেছনে তৃণমূলবিজেপিকে দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘ গোলমালের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনৈতিক দল দায়ী।’ একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরন প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু আর্থিক ক্ষতিপূরণ নয় নিহতের পরিবারের দুজনকে চাকরি দিক মুখ্যমন্ত্রী। ছেলে মেয়েদের পড়ার ব্যবস্থা করুক।’  অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ অধীর চৌধুরী বোঝাতে চেয়েছেন কোন জঙ্গলের ভেতরে কোন হরিণ বাঘ শিকার করব বলে ভাবে অনেক সময় হয়ে যায়। এখানে হিন্দু মুসলমান তারা কিন্তু বাঘ, হরিণ, সিংহ সব একসঙ্গে থাকে। এখানে যে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা করা হয়েছে এখানকার সাধারণ মুসলিমরা তারা কেউ জড়িত নয়। দাঙ্গা লাগানোর পরিকল্পনা যারা করছেন সারা বাংলা জুড়ে তারা  এই কাজটা করেছেন। জিজ্ঞাসা করছি আগুন তো লেগেছে, দেশলাইটা পেল কোথা থেকে?’ 

Murshidabad কী বললেন সাংসদ?

Murshidabad মালদা দক্ষিনের কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী বলেন, ‘ নিহতদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। ধুলিয়ান এত সেফ জায়গা, কী করে হল! ভয়ের মধ্যে আছেন নিহতের আত্মীয়রা। নিরাপত্তার জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। ওঁদের ছেলেমেয়েদের জন্য সরকারি সহযোগিতা দরকার আছে।’