Murshidabad Politics তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে টানটান লড়াই দেখেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা । বেশকিছু পঞ্চায়েত দখল করেছিল সিপিএম, কংগ্রেসের জোট। পেয়েছিল উল্লেখযোগ্য ভোটও। তবে লোকসভায় মুর্শিদাবাদ হয়েছে ৩ -০ । ৩ আসনেই জিতেছে তৃণমূল। তারপরই শুরু পঞ্চায়েত প্রধানদের দল বদল।
৩০ জুন বেলডাঙা ১ ব্লকের চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান খোসবার আলী তৃণনূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দেন সিপিআই(এম)’এর প্রতীকে জয়ী পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শর্মিলা খাতুনও।
জুলাই মাসের ৫ তারিখ কালীনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাপী মন্ডল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
১০ জুলাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রানিনগর ২ ব্লকের কাতলামারী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় মন্ডল।
একই সপ্তাহে ১৩ জুলাই তৃণমূলে যোগ দিলেন রানিনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম মোর্তুজা ।
ঝান্ডা বদলের পর প্রধানদের মুখে শোনা গিয়েছে, উন্নয়নে শামিল হতেই এই যোগদান।
তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ভগবানগোলা ১ ব্লকের হাবাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ২১ এ জুলাই উপলক্ষ্যে সভায় চলছে যোগদানের পালা। যোগদানকারীদের মুখে, উন্নয়নের স্লোগান। কিন্তু কার উন্নয়ন ? প্রশ্ন বিরোধীদের। উঠছে ভয় দেখানো,দল বদলে চাপ দেওয়ার অভিযোগও। শাসক দলকেই নিশানা করছে বিরোধীরা।যদিও তৃণমূলের দাবি, যোগদান চলবেই।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, ২০১৬ সালে মুর্শিদাবাদে বিরোধীদের ঘর ভেঙে যোগদান করিয়ে হয়েছিল তৃণমূলের গোড়াপত্তন। ২৩’এর ভোটে হাতছাড়া পঞ্চায়েত প্রধানদের দলে টেনে সেই পদ্ধতিতেই দলের শক্তি বাড়াতে চাইছে তৃণমূল।