Murshidabad Politics মুর্শিদাবাদে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।। তার মাঝেও সেই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ নিয়ে ফের বিড়ম্বনায় তৃণমূল কংগ্রেস। ফের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ। একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতেই মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ, বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য শাহনাজ বেগম। তবে নেহাত জেলা পরিষদ নিয়ে ক্ষোভ ? নাকি এর আড়ালে অন্য রাজনৈতিক সমীকরণ ? প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।
Murshidabad Politics এক সময় জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতিও ছিলেন শাহনাজ। ছিলেন জেলা মহিলা সভানেত্রী। কংগ্রেসের জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল। সেই সময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এইন শাহনাজ। তবে বর্তমানে জেলা পরিষদের হাল হাকিকত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ তিনি। তাঁর দাবি, জেলা পরিষদের অনিয়ম- বেনিয়ম নিয়ে একাধিকবার দল ও প্রশাসনকে বলেছেন। লিখিতভাব জানিয়েছনে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও। তাঁর আশঙ্কা, সেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী অবধি পৌঁছায় নি।
আরও পড়ুনঃ অনিয়মিত স্থায়ী সমিতির সভা ঘিরে প্রশ্ন
Murshidabad Politics কী দাবি করেছেন শাহনাজ বেগম ?
Murshidabad Politics মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতে তাই ব্যবহার করছেন সোস্যাল মিডিয়াকে। জেলা পরিষদ সদস্যের দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে মিটিং নিয়মিত হচ্ছে না । তিনি লিখেছেন, “ বর্তমান অর্থ-বর্ষে মাত্র একটি অর্থ উন্নয়ন স্থায়ী সমিতির সভা হয়েছে এবং একটি জেনারেল বডির সভা হয়েছে। বাকি স্থায়ী সমিতি গুলোর অবস্থা আরো করুন। প্রশ্ন হল অর্থের মিটিং না করে জেনারেল বডির অনুমোদন ছাড়া কিভাবে জেলা পরিষদ উন্নয়ন করতে পারবে? দিদি আমাকে বিশ্বাস করতে হবে না। জেলা পরিষদ সম্পর্কে রিপোর্ট চাইলেই আরো বেশি সত্য জানতে পারবেন” ।
এমসিইটি কলেজ এবং অধুনা পরিত্যক্ত আর এন টেগর হাসপাতাল নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন শাহনাজ। তিনি লিখেছেন, “ জেলা পরিষদের নিজস্ব আর এন টেগর হাসপাতাল, মুর্শিদাবাদ জেলায় নাম করা হাসপাতাল ছিল। এই হাসপাতালটি বর্তমানে বন্ধ। এখানে ভালো ক্যান্সার ইউনিট খোলা যেতে পারে, নার্ভের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। একটা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে কর্মসংস্থান নষ্ট হওয়া, মানুষকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা।হাসপাতালটি দ্রুত চালু করতে আপনার ইতিবাচক পদক্ষেপ দাবি করছি” ।
Murshidabad Politics সভাধিপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির চেষ্টারও অভিযোগ এনেছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন জেলা পরিষদের মেন্টর, কো -মেন্টরের ভূমিকা নিয়েও। তাঁর দাবি জেলা পরিষদে দলের নিয়ন্ত্রণই নেই। শাহনাজ বেগম আরও লিখেছেন , “ দলের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রত্যেক পদাধিকারী তার পদ বাঁচাতে মরিয়া। জেলার কথা ভাবার বা জেলার মানুষের কথা শোনার কেউ নেই। জেলার মানুষগুলো বড্ড অসহায়। জেলা পরিষদ কারো ব্যক্তি প্রপার্টি নয়। এই জেলার মানুষের সম্পত্তি জেলা পরিষদ। এখন যারা এই জেলায় দলীয় পদাধিকার আছেন, বা জেলা পরিষদের যারা কর্মকর্তা আছেন তারা জানেন না তৃণমূলের জেলা পরিষদ হয়ে ওঠার ইতিহাস। কেননা আজ যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা তখন সবাই কংগ্রেসে ছিলেন” । তাঁর দাবি, জেলা পরিষদ বাঁচানোর জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে এই খোলা চিঠি লিখছেন ।














