Murshidabad News একদিকে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বন্যার জলে প্লাবিত মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার তিন ব্লকের একাধিক গ্রাম। ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। গ্রামে ঢুকেছে জল। গৃহবন্দি অসংখ্য পরিবার। খড়গ্রামে এখনও জলমগ্ন পদমকান্দি, ঝিল্লি সহ বিভিন্ন এলাকা। পদমকান্দি অঞ্চলের বাজিতপুর ও পাহাড়পুর এবং ঝিল্লি পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথপুর ঝাঁঝরা সহ বেশ কিছু গ্রামে এখনও রয়েছে বন্যার জল। ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। খড়গ্রামের বিডিও মিলনী দাস জানান, অতিবৃষ্টির জন্য পদমকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বমঙ্গলপুর, কান্দিপুর, ঝাঁঝরা এই তিনটি গ্রাম জলমগ্ন। ঝাঁঝরায় পুলিশের টিম, ব্লক প্রশাসন যৌথ ভাবে গ্রাম পরিদর্শনে আসে। শুকনো খাবার দেওয়া হল। আগামী দিনে পরিস্থিতি দেখে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুরেও গ্রামবাসীদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
Murshidabad News খড়গ্রামের পাশাপাশি ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম জলের তলায়। শ্যামপুর, গড্ডা, চাঁচোয়া, বালিচুনা, সিংহারি, চাঁদপুর, কোল্লা, জাখিনা, ছত্তরপুর, ইব্রাহিমপুর, হামিদপুর, আঙারপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত। বিডিও ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা নৌকায় করে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন। প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের চিকিৎসায় আশা কর্মীরা গ্রামে গ্রামে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দাওয়া শেরপা জানান, গডডা অঞ্চলের সুলতানপুর ঘুরে দেখা হয়। কোল্লা, চাঁদপুরের পরিস্থিতিও ঘুরে দেখা হয়েছে। চারিদিকে জল। চাষের জমি জলের তলায়। কমিউনিটি কিচেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুকনো খাবারও বিতরণ করা হয় বন্যা দুর্গতদের। বিদ্যুতের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। জল জমে থাকায় যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে।
Murshidabad News বড়ঞাতেও জলবন্দি দশা। টানা ৫ দিন ধরে জলমগ্ন বড়ঞার সুন্দরপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সাতটি মৌজা। একাধিক বসত বাড়ি থেকে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি জলের তলায়। সোনাভারুই গ্ৰামের বাসিন্দা উত্তম বাগদি জানান প্রায় ৪ দিন ধরে পুরো বাড়ি ডুবেছে কোপাই নদীর জলে। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিনযাপন সোনাভারুই,ভড়ঞা,বৈদ্যনাথপুর, কয়থার হাজার হাজার মানুষ। অবিলম্বে সরকারি ত্রান ও সরকারি সহায্যোর দাবি জানিয়েছেন গ্ৰামবাসিরা। গ্ৰামবাসিদের দাবি কৃষি প্রধান এলাকা। ধান চাষ করা হয়েছিল কয়েক হাজার বিঘা জমিতে। বন্যার জলে সব শেষ। মাথায় হাত ধান চাষিদের।