Murshidabad News লক্ষ্মী পুজোর রাতে মুর্শিদাবাদের সালারে ঘটে গেল বীভৎস ঘটনা। যে ঘটনায় শোরগোল জেলা জুড়ে। সোমবার রাতে রেস্তরাঁ থেকে স্কুটারে চেপে বন্ধুর সাথে বাড়ি ফেরার পথে হেনস্থার শিকার যুগল। শুধু হেনস্থাই নয় প্রথমে তাঁদের পথ আটকানো হয়। কিশোরীর সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করা হয়। অভিযোগ কিশোরীকে গণধর্ষণের। এই ঘটনায় পাঁচ জনের নামে সালার থানায় লিখিত অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। পাঁচ জনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের কান্দি কোর্টে তোলে সালার থানা। জেলে গেল দুই অভিযুক্ত। আগামি ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার সালার থানার ওসি তুষার মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিন জনের খোঁজ চলছে।
Murshidabad News সালার কাণ্ডে ১৭ দিনের জেল ধৃত দুজনের
Murshidabad News উল্লেখ্য, নবমীর রাতেই বহরমপুরের সাটুইয়ে কিশোরীকে গনধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপরেই আবার সালারে একই ঘটনা। কেন বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। প্রশ্ন উঠছে মেয়েদের নিরাপত্তার। যা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। শাসক তৃনমূলের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ” নারীদের নিরাপত্তা বাংলায় একদমই নেই। এটা প্রতিদিনের প্রতি মুহূর্তের ঘটনা। যেখানে ধর্ষিতা নারীর বাজার দর ঠিক করে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! সেখানে ধর্ষকেরা যে উৎসাহিত বোধ করে তার প্রমান হচ্ছে এটি। দাণ্ডা দিয়েই সমাজ ঠিক করতে হবে এবার। ”
Murshidabad News বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র জানিয়েছেন, ” এই ধরনের ঘটনা লাগাতার হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে পরপর তিনটে ঘটনা ঘটে গেল সাত দিনের মধ্যে। পুলিশ কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত নিক। এদেরকে ধরুক। প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক। যে শাস্তি মানুষ দেখতে পাবে, জানতে পারবে। তা না হলে এই রোগ সারবে না। সাধারণ মানুষেরও সজাগ দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হবে।”
Murshidabad News রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে
Murshidabad News দোষীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে সহযোগিতার আর্জি তৃনমূলের। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃনমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার জানিয়েছেন, অন্য রাজ্যে যেখানে তৃনমূল ক্ষমতায় নেই সেখানেও অনেক বেশী হচ্ছে। ধর্ষণ সমাজের রোগ। এই রোগ নিবারণের দায়িত্ব সমাজকেই নিতে হবে। সরকার পাশে থাকবে, পুলিশ প্রশাসন পাশে থাকবে। ঘটনা ঘটেছে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারও হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা আছে। এই জেলায় যে কোন অপরাধের দ্রুত চিহ্নিতকরণ হচ্ছে। জেল হচ্ছে। ট্রায়াল হচ্ছে, সাজারও ব্যবস্থা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও নিশ্চিতভাবে সর্বোচ্চ সাজা চাইছি। ”