পবিত্র ত্রিবেদীঃ বহরমপুরঃ রাস্তার মধ্যে দুর্ঘটনায় জখম হয়ে কাউকে পরে থাকতে দেখলে আমরা অনেকে কী করব ভেবে পাই না । হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়তো অনেক সময় চলে যাবে । ততক্ষনে সব শেস। সেসময় সচেতনতা প্রশিক্ষণ থাকলে খালি হাতেই বাঁচানো সম্ভব রোগীকে। শ্বাস প্রশ্বাস যাতে স্বাভাবিক হয় নিতে হবে সেই ব্যবস্থা।উপুর হয়ে থাকলে চিত করে দিতে হবে । নাক, মুখ পরিস্কার করে দিতে হবে। বুকে সঠিক পদ্ধতিতে চাপ দিতে হবে। তাতেই বাঁচানো যেতে পারে একটি জীবন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা । ইন্ডিয়ান অর্থোপেডিক সোসাইটির উদ্যোগে ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ‘বোন অ্যান্ড জয়েন্ট ঊইক’ পালন করা হল দেশজুড়ে। এখানে তা হল বহরমপুর অর্থোপেডিক সোসাইটির উদ্যোগে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় এই সপ্তাহে প্রায় এক হাজার মানুষকে এই CPR (কার্দিও পালমোনারই রিসাসিতেসন ট্রেনিং দেওয়া হয়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটার পর রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত কীভাবে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে তা নিয়ে এই ট্রেনিং দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, হাসপাতালের সাফাই কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক, লিফট গার্ড সহ সহ বিভিন্ন মানুষকে এই সিপিআর ট্রেনিং দেওয়া হয়। হাতে কলমে তাদের সমস্ত কিছুই দেখানো হয়। রবিবার ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন, ডাঃ উজ্জ্বল ভকত (অ্যাসিস্তান্ত প্রফেসার, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল)। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান আনন্দ রায় বলেন, এই প্রশিক্ষনের ফলে পরবর্তী ভবিশ্যতে সবার লাভ হবে। বহরমপুর অর্থোপেডিক সোসাইটির সম্পাদক আমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, অ্যাকসিডেন্ট হলে ততক্ষনাত রোগীকে বাঁচানো যায়। যাতে ব্রেনে ব্লাড যায় তার ব্যাবস্থা করা দরকার। তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মহিলা পুলিস কর্মীদের রক্ত পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিয় কুমার বেরা ঊপস্থিত ছিলেন। ট্রেনিং দেওয়া হয় বিভিন্ন অর্থোপেডিক চিকিৎসকদের সহযোগীদের।
Murshidabad Medical College Hospital: দুর্ঘটনায় জখমকে খালি হাতে প্রাণ বাঁচানোর প্রশিক্ষণ বহরমপুর অর্থোপেডিক সোসাইটির
Published By: Madhyabanga News |
Published On: