Murshidabad Madhyamik জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় পিছিয়ে মুর্শিদাবাদ । কারো মুখে এক গাল হাসি। তো কারো মনে ক্ষোভ । বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এমন ছবি উঠে এল রাজ্য জুড়ে । ২রা মে ফল চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা শেষের ৮০ দিনের মাথায় এবার ফল প্রকাশ করা হল। মেধাতালিকার প্রথম দশে এ বার রয়েছে ৫৭ জন।
প্রথম হয়েছে কোচবিহার জেলার রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। দ্বিতীয় হয়েছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। কিন্তু এবারেরও মেধাতালিকায় দেখা মিলল না মুর্শিদাবাদের কোন একটিও ছাত্র-ছাত্রীর নাম। কিন্তু কেন এই সমীকরণের হেরফের ? শেষ কিছু বছরে ধরেই নাম নেই জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের।
সেই কারণ হিসেবে মূলত শিক্ষকেরা দাবি করছেন যেহেতু এটাই শেষ কোভিড ব্যাচ তাই হয়তো এবারও জেলা মেধাতালিকায় নিজের স্থান করে নিতে পারেনি । কিন্তু অন্যদিকে দিক দিয়ে দেখতে গেলে জেলার আইসিআই-এর এক ছাত্র ৬৮৩ পেয়েছে । যা মাত্র এক নম্বর কম দশম স্থানে থাকা কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে । এই বিষয়ে বহরমপুরের আইসিআই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হক মোমিন বলেন, “অনেকেই ভাবতে পারে অন্যান্য জেলা জায়গা পাচ্ছে। কিন্তু আমরা পেলাম না। কিন্তু দশম স্থান ৬৮৪ আর আমাদের জেলায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি যে পেয়েছে তার প্রাপ্য নম্বর ৬৮৩”। তবে গতবারের চাইতে এইবার নম্বরের পরিমাণ বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে জানান জেলার শিক্ষকেরা।
ছাত্র ছাত্রীদের ফলাফল নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন অভিভাবকেরাও। তবে জেলার এই ফলাফলে হতাশ অভিভাবকেরা। জেলার ছাত্র ছাত্রীদের আগামী দিনে মেধাতালিকায় থাকলে গেলে ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভবাকদের এগিয়ে আসতে হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। অভিভাবক পার্থ দাস জানান, “হয়ত কিছু ঘাটতি থেকে অবশ্যয় যাচ্ছে। সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং গার্জেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে হবে। উভয়কেই একটু দেখে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এবছর মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ৭৮ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী ছিল। তার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই ছিল বেশি। এতো পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোন ছাত্র ছাত্রীদের র্যাুঙ্ক না করায় হতাশ শিক্ষা মহলও।