Murshidabad কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে জমি দেওয়ার দাবি করেছিল পরিবারটি। কিন্তু তার বদলে তাদের বেঁধে দেওয়া দামে ওই জমি কিনতে চেয়েছিল প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা। সেই দাবি না মানতে চাওয়ায় মিথ্যে ক্রিমিনাল মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ওই পরিবার।
Murshidabad ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার খাদ্য শস্য আধুনিক ভাবে সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য সাইলো প্রকল্পে সারাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর গোডাউন তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্পের বিশেষত্ব, রেল লাইন পাতা থাকবে গোডাউনের ভিতর পর্যন্ত। খাদ্যশস্য বোঝাই মালগাড়ি এই গোডাউনের ভিতরে ঢুকে গিয়ে আনলোডিং করবে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার সারগাছি এলাকায় এমন একটি প্রকল্পের জন্য ফুড করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া তেলেঙ্গানার একটি ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। ওই সংস্থা এলাকার থেকে জমি কিনে নিচ্ছে। কিন্তু তন্ময় মন্ডলের পরিবারের তরফে জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের আইন কার্যকর করার দাবি করা হয়। কিন্তু সেই দাবি না মেনে জমি তাদের দেওয়া দামে বিক্রির জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
Murshidabad পরিস্থিতির চাপে ওই পরিবার হাইকোর্টে মামলা করে। ২০২২ সালে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ফুড করপোরেশন ও ওই ঠিকাদার সংস্থা জানিয়ে দেয়, ওই জমি তাদের প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন নেই। যদিও তারপর থেকে ফের জমি তাদের বিক্রি করার জন্য চাপ বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। কারণ মালগাড়ি গোডাউনে ঢোকার জন্য রেল লাইন বসানোর ক্ষেত্রে ওই জমি দরকার। কিন্তু পরিবারটি নিজেদের দাবিতে অনড়। অভিযোগ, প্রথমে ওই জমি সংলগ্ন গোটা এলাকায় সাবেক ১৪৪ ধারা জারি করায় ওই ঠিকাদার সংস্থা। আশপাশের সব জমি খুঁড়ে সেই মাটি পরিবারটির জমিতে ফেলা হয়। কিন্তু তারপরেও নতুন আইনে জমি অধিগ্রহনের দাবি থেকে না সরায় এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে সংস্থাটি অভিযোগ দায়ের করে থানায়। পুলিশ সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই FIR করে। পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং অভিযোগ জানানোর পিছনে আসল ঘটনা উল্লেখ করেই মামলা হল হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে আগামী মঙ্গলবার সম্ভবত মামলার শুনানি।