Murshidabad Jute Farmers সুব্রত প্রামাণিক, সাগরপাড়াঃ খাতায় কলমে বর্ষা চললেও দেখা নেই বৃষ্টির। জলের অভাবে পাট পচাতে হিমশিম অবস্থা পাট চাষিদের (Jute Farmer)। পাট পচাতে বাড়তি খরচ করে পাম্পের জলই ভরসা চাষিদের। জুনের শেষ থেকে শুরু হয় পাট কাটার কাজ। এরপর তা বিভিন্ন জলাশয় বা পুকুরে জাক দেওয়া হয় পচানোর জন্য। তবে এবছর জুলাইয়ের শেষ হতে চললেও দেখা নেই ভারি বৃষ্টির। মাঠ ঘাট খাল বিল শুকিয়ে কাঠের যোগান। খাল বিল বা জলাশয়ে নেই জল। অনেক জমিতে পাট শুকিয়ে যেতে বসলেও জল না থাকায় পাট কাটতে পাড়ছেন না কৃষকেরা।
এমনই ছবি উঠে এলো সাগরপাড়া এলাকা থেকে। সাগরপাড়া (Sagarpara) থানা এলাকার ধনিরামপুর, সাহেবনগর, দেবীপুর, মহিষমারী, বারোমাসিয়া, নরসিংহপুর, রামনারায়ণপাড়া সীমান্তে বিস্তীর্ণ এলাকায় পাট চাষ করেন কৃষকেরা। তবে এবছর পাট চাষের প্রথম থেকেই তেমন ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় খরচ অনেক বেড়েছে। পাট কাটার সময় হয়ে গেলেও পচানোর জল না থানায় সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা।
সাগরপাড়ার পাট চাষি সুনীল কুমার মণ্ডল তিনি জানান, “প্রায় ৫-৬ বিঘা পাট আছে, সেই সমস্ত পাটের অবস্থা খুবই খারাপ। রোদে পুড়ে একদম কালো হয়ে গিয়েছে পাট। তার ওপর বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই পাট শুকোতে আরও সমস্যার মুখে পরতে হচ্ছে”
অনেকেই জমিতে বা খালে পাম্প চালিয়ে বাড়তি খরচ করে জল দিয়ে পাট জাক দিচ্ছেন। পাট পচাতে বাড়ছে বাড়তি খরচ। এতেই খরচ বেড়েছে অনেকটাই। গত কয়েক বছর ধরেই বৃষ্টির ঘারতিতে পাট পচানোর খরচ বেড়েছে অনেকটাই। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকেই জমি থেকে পাট কাটতে পাড়ছেন না। এর জেরে জমিতেই শুকতে বসেছে জমির পাট। অন্যান্য ফসলের মতো পাট চাষকে বিমার আয়তায় আনার দাবি জানাচ্ছেন কৃষকেরা।
তবে এইভাবে পাম্পের জলে পাট পচাতে যে খরচ হচ্ছে তা পাট বিক্রি করে আদেও মিলবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে অনেক কৃষকের। এখন কৃষক তাকিয়ে রয়েছে ভারি বর্ষার দিকেই।