Murshidabad Jute Farmers পাট চাষ করেও শান্তি নেই মুর্শিদাবাদের কৃষকদের মনে। সামনেই উৎসবের মরশুম। পাট বিক্রি করে লাভের আশা করেছিলেন। অনেক চাষিই পাট মজুত না রেখে বিক্রি করছেন। কিন্তু পাটের দাম কি তাঁরা পাচ্ছেন? । চাষিরা বলছেন, লেবার খরচ বেশী, দাম নেই পাটের। ঋণ নিয়ে চাষ করে আর্থিক ক্ষতির মুখে মুর্শিদাবাদের পাট চাষিরা। হরিহরপাড়ার কেশাইপুর ঘোষ পাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার খেটে খাওয়া বহু মানুষ পাট চাষের ওপর নির্ভরশীল। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে চাষাবাদ করেন শুধুমাত্র আর্থিক লাভের আশায়। চোখে মুখে এখন তাদের হতাশা। কেউ নিজের জমি, কেউ আবার পরের জমিতে চাষ করেছেন পাট। এখন জমির অবশিষ্ট পাট কাটার ব্যস্ততা মাঠে মাঠে। হরিহরপাড়ার বাসিন্দা পাট চাষি বাবলু বিশ্বাস, এই মরশুমে দশ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পাট ধোয়া থেকে লেবার খরচ – সব সামলে হাফিয়ে উঠেছেন। বিঘা প্রতি হাজার তিনেক টাকা ক্ষতির আশঙ্কা তাঁর। বাধ্য হয়েই ঘরে না রেখে পাট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিমানেই বলছেন, আগামী দিনে পাট আর বুনবেন না।
এবছর এই জেলায় পাট চাষ হয়েছে ৯০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল । এই একবছরে কমেছে পাট চাষের পরিমাণ। কিন্তু কেন? পাট বিক্রি করে দাম না পেয়েই কি মুখ ফেরাচ্ছেন পাট চাষিরা? বিকল্প চাষে ঝুঁকছেন? চাষিদের কথায়, এক বিঘা জমিতে হয় প্রায় চার কুইন্টাল পাট। কুইন্টাল প্রতি পাটের বাজার দর প্রায় চার হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় যা প্রায় ৭০০ টাকা কম। বৃষ্টি হলে পাটের রঙ, গুনগত মান ভালো হয়। যদিও এবছর অনাবৃষ্টির জেরে পাটের গুনগত মানও আশানুরূপ নয়। হরিহরপাড়ার কৃষল বিকাশ ঘোষ বলেছে, “পাট চাষে বারবার লোকসান হচ্ছে। এভাবে পাট বিক্রি করতে হলে চাষ করা মুশকিল”।