নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ পুজা বসু, বয়স ৩২। কোলে ছোট্ট বিট্টু। খুশবু খাতুন বয়স ৬২ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা। দুজনের একটাই মিল পিঠে খেতে ইচ্ছে কিন্তু হাতে সময় নেই কারোর। দুজনেরই দেখা হল শীতকালের মাঠে। হাতে ধোঁয়া ওঠা পিঠে। ইসলামপুরের বাসিন্দা খুশবু খাতুনের কথায় পিঠে খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু তৈরি করার সময় কোথায়। একই সমস্যা খাগড়ার বাসিন্দা পুজা বসুরও। লাজুক মুখে পুজার দাবি পড়াশোনা, বিয়ে, চাকরি, সংসার সব সামলে পিঠে করার সময় কোথায়। তাই ভরসা মুর্শিদাবাদ ফুড ফেস্টিভ্যাল।
শীতকাল মানেই পিঠে-পুলি খাওয়ার দিন। ব্যস্ত সময়ে আজ সে সব পুরনো স্বাদ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলার সাবেক পিঠেপুলির সম্ভার নিয়ে আয়েজন করলেন মালদহের চাঁচল এলাকার নেতাজি রোডের গৃহবধূরা।
পিঠেপুলির স্বাদ চেখে দেখতে মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হলেন আট থেকে আশি খাদ্যপ্রেমিরা। ষষ্ঠতম মুর্শিদাবাদ ফুড ফেস্টিভ্যালে গ্রাম বাংলার সেই পিঠেপুলি খেতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন নদীয়া থেকে আসা মা অন্নপূর্ণা পিঠেপুলি স্টলে।
এলাকার গৃহবধূরাই উদ্যোগ নিয়ে এই মেলায় নিজেদের স্টল দিয়েছেন। স্টলে রাখা রয়েছে দুধপুলি, দুধের পাটিসাপটা যেটি সম্পূর্ণ করা মাটির উনুনে, চন্দ্রপুলি এছাড়াও আরও অন্যান্য ধরনে পিঠে রয়েছে একই ছাদের তলায়। স্টলের সামনেই রাখা রয়েছে গ্রাম বাংলার পরিচিত ঢেঁকি। যেটি ব্যবহার করে এই পৌষ পার্বণে চাল পিষে তৈরি করা হয় নানান ধরনের পিঠে।