নিজস্ব প্রতিবেদনঃ জলে নয় জীবিকা বাঁচাতে মৎস্যজীবীরা (Fishermen) ঘুরলেন রাস্তায় রাস্তায়। গ্রামের ঘরে ঘরে। বাড়ির উঠোনে বসে লিফলেট বিলি করলেন। কখনো বাঁশের মাচায় বসে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেন। কখনও পাটকাঠির ঘর লাগোয়া চাতালে মিটিং করলেন। কখনও ত্রিপল বিছিয়ে, খোলা মেঠো পথে নিজেদের কথা বললেন। কখনও আবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তির সামনে সভা করলেম। সঙ্কটে মৎস্যজীবীরা। তাই দাবি আদায়ে রাস্তাকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। মৎস্যজীবী অধিকার যাত্রায় মৎস্যজীবীদের অধিকারের দাবি জানালেন। পথচারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নিজেদের যন্ত্রণা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ছয় থেকে নয় নভেম্বর এই কর্মসূচী পালন করলেন মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad Fishermen: পথে মৎস্যজীবীরা, মুর্শিদাবাদের ছয় ব্লকে যাত্রা

Murshidabad Fishermen গত বুধবার বহরমপুর শহরে স্টুডেন্টস হেলথ হোমে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বৃহস্পতিবার থেকে পথে নামার ঘোষণা করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকা সুরক্ষার জন্য তার আগে বহরমপুর নাগরিক সমাজের বৈঠক হয়। ১৩ দফা দাবি নিয়ে ৬ নভেম্বর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার মৎস্যজীবী অধিকার যাত্রা ফরাক্কা ব্লকের ডিয়ার ফরেষ্ট এলাকায় শুরু হয়। ফরাক্কা ব্লক, জঙ্গিপুর হয়ে রঘুনাথ গঞ্জ -২ ব্লক , মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লক, বহরমপুর সদর, রানী নগর -১, ব্লক, রানীনগর -২ ব্লক এবং জলঙ্গী ব্লকের সাগর পাড়ায় শেষ হল। সাগরপাড়ায় মাছের বাজার ও পোস্ট অফিসের কাছে পোস্টার সাঁটা ও লিফলেট বিলির মাধ্যমে রবিবার বেলা তিনটেয় অধিকার যাত্রা শেষ হয়।

Murshidabad Fishermen মৎস্যজীবীদের কোনও আইনি সুরক্ষা নেই। মাছ ধরবার জন্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা হতে হয়। খাল, বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। বড় জলার লিজের মালিকানা চলে যাচ্ছে ধনীদের হাতে। নিজেদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে তাই পথে নামার রাস্তা বেছে নিলেন মাছ চাষিরা। দাবি তুললেন, জল বাঁচাও, মাছ বাঁচাও, মৎস্যজীবী বাঁচাও। মৎস্য সম্পদে অধিকার, প্রশিক্ষণ, বার্ধক্যভাতা, সরকারি সুযোগ সুবিধার দাবিও জানান তাঁরা। মৎস্যজীবীদের দাবির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বহরমপুরে গত ৫ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সূর্যেন্দু দে-র মতো বিজ্ঞানী সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।
আগেই জানানো হয়েছিল, মাছ ধরার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে এই অধিকার যাত্রা। চিকিৎসা বিমা, সীমান্তে সমস্যা দূর করা সহ একাধিক দাবি রয়েছে। জানানো হয়েছিল ডিয়ার ফরেস্ট, সাইদাপুর তালতলা,জিয়াগঞ্জ, কৃষ্ণমাটি, গান্ধী কলোনি, দামোসের ধার, রামনগর, জয়মনিপাড়া, মহাদেবপুর, উত্তরচর মাঝারদিয়াড়ে, কাতলামারি, হালদারপাড়া, চর সরন্দাজপুর, চররাজনগর, কাজিপারা বামনাবাদ, খাসমহল, সিংপাড়া, সুর্যনগর, সাগরপাড়ায় যাত্রা হবে।















