Murshidabad Farming জুলাইয়ের শেষ আগষ্টের শুরু। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলছে শ্রাবণ মাস। ক্যালেন্ডারে ভরা বর্ষা। কিন্তু বাস্তবে নেই তার দেখা। ফলে দেখা দিচ্ছে জল সংকটের (Water Crisis)। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া, বেলডাঙ্গা, রানীনগর, ডোমকল- এর মতন বিভিন্ন অন্যান্য ব্লকে এই সময় একদিকে চলছে ধান চাষ এবং অন্যদিকে পাট পঁচানোর কাজ।
কিন্তু এই বছর জলের অভাবে ধুঁকছে পাট (Jute) এবং ধান (Paddy) চাষিরা। আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় চলতি বছরে বৃষ্টি ঘাটতি প্রায় ৫৮%। জুলাই মাসের হিসেবে মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির (Murshidabad Monsoon) ঘাটতি প্রায় ৩৮%। ২৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে ১৮৩ মিলিমিটার। ফলে ক্ষতির মুখে ধান চাষি থেকে পাট চাষিরা।
যদিও ২০২৩-২৪ এর তুলনায় চলতি বছর ধান চাষ হয়েছে বেশি। উল্টো দিকে পাটের ক্ষেত্রে চাষের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্র অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত পাট চাষ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ২০২৩-২৪ সালে পাট চাষের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩৭০ হেক্টর। আবহাওয়া খারাপ কখনও অনা বৃষ্টি কিংবা খরার কারণে পাটের ফলন বর্তমানে অনেক খানি কমেছে।
অন্যদিকে দিশেহারা ধান চাষিরাও । মূলত বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করেই আমন ধান চাষ করে অধিকাংশ কৃষক। তবে বৃষ্টির ঘাটতির প্রভাব পড়েছে ধান চাষের ক্ষেত্রেও। শেষ পাঁচ বছরের নিরিখে কমেছে জেলায় ধান চাষের পরিমাণ। ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৮৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার ১৫০ হেক্টর।
প্রতি বছর একটু একটু করে ধান এবং পাট চাষ বৃষ্টির অভাবে কমছে। এই বছর পাট চাষের পরিমাণ অনেক কম আগের বছরের তুলনায়। তবে আদৌ বদলাবে পরিস্থিতি ? আকাশের দিকে তাকিয়ে জেলার কৃষকরা (Murshidabad Farming)।