পবিত্র ত্রিবেদীঃ ভরতপুরঃ ধান চাষের খরচ বাড়ছে হু হু করে। এখনো বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হলো না। অনেক জায়গাতে অনাবৃষ্টি। মাথায় হাত কৃষকদের। এদিকে জিনিসের দাম বাড়ছে চড়চড় করে। ফলে অন্তত বছরভর খাবার যোগানের আশায় ঋণ করেও ধান চাষ করছেন চাষীরা। কিন্তু খরচ উঠবে তো এই আশঙ্কা কুরে কুরে খাচ্ছে তাদের । ভরতপুর ১ নং ব্লক এলাকার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা গেল কৃষকদের দুরবস্থার ছবি। যেসব এলাকায় সেচের জলের জোগানোর জন্য মিনি রয়েছে সেখানে চাষ হচ্ছে।
এই বছর অনেকেই ভাগে করা জমি, কিংবা লিজে নেওয়া জমি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনিতে লাভ হবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই এই বছর। তার উপরে লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে নেবে এই মনে করে জমির মালিককে জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তারই মধ্যে কেউ কেউ এবারও বর্ষা ধানের মায়াতে অন্যের জমি লিজ নিয়ে ধান লাগিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু খরচের চিন্তায় তারা উদ্বিগ্ন।
ট্রাক্টর থেকে সেচের জল এবং জমিতে ধান রোপণের জন্য প্রয়োজনীয় সারের দাম বেড়েছে। ঠিক কতটা বাড়লো ? কৃষকরা জানিয়েছেন, বিঘা প্রতি সেচের জন্য গড়ে 1500 টাকা থেকে 2000 টাকা জলের জন্য দিতে হবে। যা গত বছর অনেক কম ছিল। ট্রাক্টরের লাঙ্গল এর খরচ এই বছর বিঘা প্রতি বেড়ে প্রায় বারোশো টাকা । রাসায়নিক সারের খরচ বেড়ে হয়েছে বিঘা প্রতি 1300 টাকা। এক বিঘা জমি ধান রোপন করতে 4 জন শ্রমিক প্রয়োজন। অর্থাৎ এর জন্য লাগবে 1600 টাকা । আগের বছর সেই খরচও কম ছিল। এটা শুধু ধান রোপনের খরচ। তারপরে ধানের চারা কেনার খরচ আছে, ঘাস না হওয়ার, কীটনাশকের বিষ দিতে হবে জমিতে। তারপরে ধান কাটা, ধান বাড়ি নিয়ে যাওয়া এবং ধান ঝাড়াই করা। যেভাবে শ্রমিকের খরচ বেড়েছে তা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভেবে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। ভরতপুরের বাসিন্দা মারফত আলী আনসারী, নির্মল মন্ডল, শ্রীমন্ত মন্ডল এর মত কৃষকরা জানিয়েছেন, এখনও তারা আশা করে রয়েছেন বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলে সেচের জলের দাম হয়তো কমতে পারে।