Murshidabad Eid রাত পোহালেই ঈদ উল ফিতর। ঈদের আনন্দে শামিল হতে বাড়ি ফিরছেন ডোমকল থানার কুপিলা গ্রামের সামিউল শেখ। কিন্তু খালি হাতে ? একদম নয়। জানাচ্ছেন বছর চল্লিশের সেলিম। বাড়িতে রয়েছে দুই মেয়ে । খালি হাতে ফেরা যায় ? বলছেন সামিউল।
বুধবার সকালে বহরমপুরে নেমছেন তিনি। রাতে নেমেছেন হাওড়ায়। এরপর কলকাতা স্টেশনে এসে প্রায় চার ঘন্টার অপেক্ষা। সেই অপেক্ষা যেন শেষই হচ্ছিল না। অবশেষে বহরমপুরে নেমে স্বস্তি। কেরল থেকে সামিউল মেয়েদের জন্য নিয়ে এসেছেন, খেলনা পুতুল। নিয়ে এসেছেন জামা, কাপড়ও।
একই কথা জলঙ্গীর আতাউর মণ্ডের গলাতেও। তিনিও কেরল থেকেও সামিউলের সঙ্গী। আগে আলাপ ছিল না। পরিচয় হয়েছে ট্রেনেই। দুজনেই মুর্শিদাবাদ ? ট্রনে এগিয়েছে আলপ।
আতাউর যদিও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন , আরবের শ্যাম্পু ,সাবান। এসব নাকি কেরালায় পাওয়া যাওয় কিন্তু জলঙ্গীতে পাওয়া যায় না। মেলে না বহরমপুরের বাজারেও।
বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী তার জন্যই এসব লাজুক হেসে জানাচ্ছেন আতাউর।
রমজান মাস জুড়েই ঈদে বাড়ি ফিরছেন ভিনরাজ্যে থাকা মুর্শিদাবাদে শ্রমিকদের একাংশ। রমজান মসের শেষের দিকে বেড়েছে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা।
তবে অনেকেই আগে টিকিট পান নি। তাঁদের ভরসা শেষ দিনের ট্রেনে। কেউকেউ আবার বেশি টাকা দিয়ে ফিরছেন বিমানে। তেমনই হরিহরপাড়ার বাসিন্দা সফিকুল আলম। বেঙ্গালুরুতে মার্বেলের কাজ করেন সফিকুল। কাল রাতেই দমদম বিমান বন্দরে নেমেছেন সফিকুল। এরপর বাস ধরে চলে এসেছেন বহরমপুর মোহনা বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে ধরবেন হরিহরপাড়ার গাড়ি।
তবে সকলের চোখেমুখেই বাড়ি ফেরার আনন্দ। নিকটজনদের কাছে পেয়ে আনন্দের ছবি ডোমকল থেকে লালগোলা, জঙ্গিপুরের গ্রামে গ্রামে।
রাজ্য থেকে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের বড় অংশই মুর্শিদাবাদের। ঈদ উল ফিতর এবং ঈদ উল – আযহাতে বাড়ি ফেরেন শ্রমিকরা। ঈদের আগে গ্রামে গ্রামে সাজানো হয়েছে ঈদগাহ, মসজিদও।