Murshidabad Agriculture প্রখর রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের খেত। খেতের ফসল বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা। স্বভাবতই বাড়ছে চাষের খরচ। একদিকে খরচ বাড়ছে চড়চড়িয়ে অন্যদিকে কমছে ফলনও।
বৈশাখের প্রখর রোদ দেখেছে বাংলা, এবার বৈশাখ পেড়িয়ে চৈত্র পরলেও বৃষ্টির দেখা নেই। এর জেরে এ দিকে, প্রখর রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি। আনাজের খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সবজি ফলাতে মাথায় হাত পরছে চাষিদের। ফসল বাঁচাতে চাষিদের ভরসা পাম্পসেট চালিয়ে জলসেচ দেওয়া। তবে আনাজের সাথে সবজি চাষে একদিকে বেড়েছে খরচ অন্যদিকে প্রখর তাপে ফলন কমায় মাথায় হাত সবজি চাষিদের। বেলডাঙ্গার সবজি চাষি কাউসার আলী, সমর সরকাররা জানিয়েছেন, এরকম চলতে থাকলে চাষে আগামীদিনে আরও ক্ষতি হবে।
জমিতে পাট, তিল থেকে অনান্য ফসলের পাশাপাশি বেলডাঙার নওদা, পুলিন্দা, দেবপুর, খুলাবাড়ি, গোয়ালপাড়া, চৈতন্যপুর, সত্তরপুর, রতনপুর এলাকায় চাষিরা মূলত সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল । বিঘার পর বিঘা জমিতে কেউ চাষ করেন পটল, কেউ বেগুন আবার কেউ টমেটো। দাম ভালো থাকলেও সেচের ও সার বিষের খরচ যেমন বেড়েছে তেমনি ফলন কমায় খরচ তোলায় দায় হয়েছে চাষিদের।
বেলডাঙ্গার সবজি চাষি বিপদভঞ্জন প্রামাণিক জানিয়েছেন, এবছর তেমন ভাবে বৃষ্টির দেখা এখনও মেলেনি। প্রখর তাপপ্রবাহে পাম্পে সেই ভাবে জলও না ওঠায় সেচের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকরা জানাচ্ছেন, জমির ফসল বাঁচাতে সেচই ভরসা চাষিদের। বাকিটা শুধুই বৃষ্টির অপেক্ষা।