পবিত্র ত্রিবেদীঃ বহরমপুরঃ এবছর কৃষকরা কম দামে পাট বিক্রি করে দিচ্ছেন। কারণ এবার শ্রমিক, জলের দাম সহ বিভিন্ন কারনে পাট পচানোর খরচ বেড়ে গিয়েছে। পাট বিক্রির পর সেই টাকা দিয়ে পরবর্তী পাট পচানো হচ্ছে। গতবার দাম বেশি পেয়েছিলেন কৃষকরা। তবে এবার খুব কম পাচ্ছেন এরুকম কোনও রিপোর্ট নেই বলে বক্তব্য এক কৃষি আধিকারিকের।
অন্যদিকে কিছুতেই বৃষ্টির জলের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। এবছর এখনও অন্তত পক্ষে ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষার আমন ধান চাষ হয়নি।মুর্শিদাবাদ জেলায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার হেকটরের মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টরে চাষ হয়েছে। এখনও বৃষ্টির যা খারাপ পরিস্থিতি তাতে বাকি জমিতে আদৌ ধান চাষ হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত কৃষি দপ্তর । যেসব জমিতে এখনও পাট পচানো হয়নি তাদের তো আর চাষ হবে না ধরে নিতে হচ্ছে। কারন, মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি বড় অংশের জমিতে পাট চাষ হয়। ফলে এবার কৃষকদের স্বার্থে অন্যভাবে ভাবা শুরু করেছে কৃষি দপ্তর। আগাম রবি চাষ অর্থাৎ শীতকালীন ফসল চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে । এজন্য কৃষকদের উৎসাহ দিতে বীজ ও অনুখাদ্য সরবরাহ করা হবে। এবং আগাম চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। সেখানে বেশি করে সরষে, ভুট্টা, মুসুরি, কলাই যাতে ভালভাবে চাষ করা যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কৃষি দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে,সাধারনত এই জেলায় ৩০-৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়। মুসুর চাষ হয় ৫০-৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। কলাই চাষ হয় ৩ থেকে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। সেই চাষ এবার যাতে বাড়ে সেই চেস্টা করা হবে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলা কৃষি দপ্তরের উপ অধিকর্তা মোহনলাল কুমার বুধবার বলেন, এই বছর জেলায় বৃস্টির ঘাটতি রয়েছে। রবি চাষ নিয়ে আমরা ভাবছি। যাতে এই ঘাটতি কৃষকদের পুষিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।চাষের জন্যে কৃষকদের বীজ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে।এদিকে, এবছর অনাবৃষ্টির জেরে এখনও অনেক জমির পাট পচানো হয়নি।চাষের খরচ মেটাতে বেশ কিছু জায়গায় কৃষক অল্প দামে পাট বিক্রী করে দিচ্ছেন বলে কৃষি দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে। যেখানে গত বছর তারা প্রতি কুইন্টালে ৭০০০-৮০০০ টাকা দামে পাট বিক্রী করেছেন। এবছর তা বিক্রী করছেন ৫০০০ টাকা দামে। তবে এই বিষয়ে কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক এদিন বলেন, কৃষকরা কম দামে পাট বিক্রী করে দিচ্ছেন এরকম রিপোর্ট তাঁদের কাছে নেই। তবে গত বছর দাম বেশি পেয়েছিলেন তাঁরা। তার জন্যে অন্যান্য কারণ রয়েছে।