Muri: মুড়ির দামেও আগুন ! কেন বাড়ছে মুড়ির দাম ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

দেবনীল সরকারঃ বাংলার অন্যতম প্রধান খাদ্য হল মুড়ি। চাল আটার পরে এবারে এক ধাপে বাড়ল মুড়ির দাম। ট্রেন, বাস, জনব্যস্ত রাস্তার মোড় সব জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায় মুড়ি বিত্রেতাদের। কাজের ফাঁকে লঙ্কা মুড়ি চিবিয়ে জল খেয়ে পেট ঠাণ্ডা রাখেন অনেক মানুষ। এবারে বাংলার অতি প্রিয় এই খাবারের ওপর পড়ছে  দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির থাবা।

মুর্শিদাবাদ  জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুড়ির কল। যেখানে মেসিনের মাধ্যমে মুড়ি ভাজা হয় ও প্যাকেটজাত করা হয় । এছাড়াও পুরন্দরপুর, কান্দি, রঘুনাথগঞ্জ এই এলাকার ছোট গ্রাম গুলি থেকে হাতে করে বালিতে ভাজা মুড়ি এনে বিক্রি করা হয় বহরমপুরের বাজারে । মুড়ির বিশাল চাহিদা রয়েছে এই এলাকায় । তবে এবারে শেষ একমাসে কেজি প্রতি প্রায় ৫ টাকা বেড়েছে মুড়ির দাম যা নিয়ে চিন্তিত মুড়ি ব্যবসায়ীরা।

বহরমপুরের পুরাতন কান্দি বাসস্ট্যান্ডের বাজারে পাইকারি মুড়ি বিক্রেতা  জগন্নাথ কর্মকার  বলেন, “আমরা পাইকারি দামে বস্তা বস্তা মুড়ি কিনে এনে দোকান থেকে বিক্রি করি। মুড়ির ব্যবসা করেই ৪০ বছর পার হয়ে গেল। বাজারে যেমন জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেরকম মুড়ির দামও বেড়েছে। যে চাল থেকে মুড়ি তৈরি হয় তার দাম বাড়লে মুড়ির দাম তো বারবেই! কিন্তু খদ্দেরকে বোঝাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের।”

একমাসে আগে প্যাকেট মুড়ির দাম ছিল ৪৫ টাকা, ৫০ টাকা ও হাতে ভাজা ভাল মানের মুড়ি ছিল ৫৫ টাকা। এখন তা বেড়ে যথাক্রমে হয়েছে ৫০, ৫৫, ৬০ টাকা পর্যন্ত।

মুড়িতে যেন আগুন। ছবিঃ ময়ূরেশ রায়চৌধুরী

বহরমপুরের একটি মুড়ির কলের কর্মচারী  জিতেন সাহা বলেন, “হঠাৎ দু’মাস আগে ১৪ টাকা প্রতি কেজি বেড়েছিল মুড়ির চালের দাম। যার ফলে আমাদের ৪০০ গ্রাম মুড়ির প্যাকেট, আগে যেটা ১৮ টাকা দামে বাজারে বিক্রি করতাম, তা বাড়িয়ে ২৫ টাকা করতে হয়েছিল। পরে চালের দাম কেজি প্রতি ৩ টাকা কমায় আমরাও প্যাকেটের দাম কমিয়ে ২২ টাকা করি। ব্র্যান্ডেড চাল দিয়ে মুড়ি তৈরি করি ফলে আমাদের মুড়ির খরচা একটু বেশি।” তিনি আরও বলেন, “মাস দুয়েক হল মুড়িতে GST যোগ হয়েছে। যার ফলে আরও কেজি প্রতি আরও ৩ থেকে ৪ টাকা বাড়তে পারে মুড়ির দাম।”

মুড়ি এমন একটি খাদ্য যা সব  জায়গায় সহজলভ্য। যেকোনো সময় খিদের পেটে খেয়ে নেওয়া যায় মুড়ি। মুড়ি সস্তা ফলে পথচলতি মানুষও মুড়ির অপর নির্ভরশীল। মুড়ি সহজে হজম হয়, তাই সবার ঘরে কৌটায় থাকে মুড়ি। মুড়ির এই মূল্যবৃদ্ধিতে চিন্তা প্রকাশ করেছেন মুড়ি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়ই।