মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ প্রতিমা বিসর্জনের পর গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত রাখতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পৌরসভা। সকাল থেকেই চলছে ঘাট পরিষ্কার। দশমীর পর একাদশীতেই বহু প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে বহরমপুরের বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পৌরসভার কর্মীরা জল থেকে কাঠামো তুলে তা সরিয়ে দিচ্ছেন। ঘাট গুলিকে সকাল থেকেই পৌরসভার কর্মীরা জল থেকে কাঠামো তুলে তা জেসিবি করে ট্রাক্টরে নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘাট গুলি চলল সাফাই।
বিকেলে রয়েছে বহরমপুরে পুজো কার্নিভাল, তার আগে চলছে ঘাট গুলিকে পরিষ্কারের কাজ। দশমীর বিকেল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রতিমা বিসর্জন। যার ফলে শহরের সমস্ত ঘাটেই চাপ ছিল খুব। প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, প্রায় একশোর কাছিকাছি প্রতিমা কেবল দশমীতেই বিসর্জন হয়েছে। এবং সেই সমস্ত প্রতিমা জল থেকে তোলার জন্যে খুব তৎপরতার সাথে বহরমপুর পৌরসভা নামে। কারণ ভাগীরথীর জল এমনি দূষিত। তারওপর পরিবেশ বান্ধব বা বলা চলে ইকো ফ্রেন্ডলি দুর্গা প্রতিমা ব্যবহার এখনও সেইভাবে শুরু হয়নি। যার ফলে, বিসর্জনের পর অত্যাধিক পরিমাণে দূষিত হয় ভাগীরথী। সেই দূষণ আটকাতেই তৎপর বহরমপুর পুরসভা।
আগের বছরগুলির তুলনায় এই বছর প্রতিমার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। খাতায় কলমে ১৮০টি পুজো কমিটি থাকলেও সেই সংখ্যাটি আরও বেশি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হতে চলেছে পুজো কার্নিভাল। সেখানেই সম্ভাব্য ১৮টি পুজো কমিটি যোগদান করতে পারে। বহরমপুরের ওয়াই এম এ (YMA)-এর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সেই কার্নিভাল। এবং পাশাপাশি দ্বাদশী অন্তিম দিন প্রতিমা বিসর্জনের। তাই আজও ঘাটগুলিতে দেখা যাবে প্রতিমার সমাগম। এবং কার্নিভালে অংশগ্রহন করা প্রতিমাও থাকবে সেই সাথে।