নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের Election মুখে দাঁড়িয়ে বহরমপুরের সাংসদের Berhampore Mp মুকুটে জুড়লো নয়া পালক। আজ শনিবার অধীর চৌধুরীর Adhir Chowdhury হাতে তুলে দেওয়া হয় সংসদ মহারত্ন পুরস্কার Sansad Maha Ratna Award ।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের অনুরোধে ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল সংসদ মহারত্ন পুরস্কার। মূলত, সংসদে সাংসদদের ভূমিকার ওপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে অধিবেশন চলাকালীন সাংসদের উপস্থিতির হার, আচার-আচরণ, বিতর্কে অংশগ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে বিচার্য হিসেবে রাখা হয়। প্রতি ৫ বছর অন্তর সংসদ মহারত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। চেন্নাইয়ের সংস্থা Prime Point Foundation এবং eMagazine PreSense এই পুরস্কার দেয়। আইন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল Arjin Ram Meghawal এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এস কৃষ্ণমূর্তি TS Krishna Murti এর সভাপতিত্বে একটি বিশিষ্ট জুরি কমিটি সাংসদদের মূল্যায়ন করে এই পুরস্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
সংসদ রত্ন পুরস্কার কমিটি, প্রাইম পয়েন্ট ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি এবং সংসদ রত্ন পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান প্রিয়দর্শনী রাহুলের Priyadarshini Rahul নেতৃত্বে, সমগ্র ১৭ তম লোকসভার জন্য সংসদ মহারত্ন পুরস্কারের প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে। এই বছর সংসদ মহারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন RSP সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন NK PremChandan (কেরালা), INC সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী Adhir Ranjan Chowdhury , BJP’র বিদ্যুৎ বরণ মাহাতো Bidyut Baran Mahato এবং BJP’র আরেক সাংসদ ডঃ হিনা বিজয়কুমার গাভিত Dr Heena Bijaykumar Gavit । সম্মানিত অধীর বলেন, ” আমি লড়াই করে বড় হয়েছি। এই পুরস্কার আমি আমার ভোটার মুর্শিদাবাদের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।”
মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ Murshidabad MP আবু তাহের খান Abu Taher Khan বলেন, ” উনি রত্ন তো বটেই। তবে মহারত্ন না কী রত্ন তা মুর্শিদাবাদের Murshidabad মানুষ ভালোই জানেন। উনি BJP ‘র দৌলতে সব পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের Mamata Banerjee বিরুদ্ধে একানাগাড়ে বিষোদগার করার ফল স্বরূপ তাঁকে পুরস্কার দিয়েছে।”
বিজেপি-র বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার আবার তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ” বিজেপি সরকারের আমলে সৌগত রায়ও Saugata Roy এই পুরস্কার পেয়েছেন। বিজেপি সরকার দল বল দেখে কাউকে পুরস্কার দেয় না। পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাঁর দক্ষতাকে। বরং তাহের বাবুর দল অধীর বাবুর দলের সঙ্গে জোট বেঁধে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছেন যা ভূ-ভারতে কোথাও নেই।”
কংগ্রেসের জয়ন্ত দাস অবশ্য বলেছেন , ” এই পুরস্কার দেওয়ার সম্প্রচার সরাসরি দূরদর্শন দেখিয়েছে। অন্য কোনও চ্যানেল দেখায় নি। এই ধরনের পুরস্কার দেওয়ার জন্য জুরি বোর্ড থাকে। আনুগত্যের বিনিময়ে কেউ জুরি বোর্ডে জায়গা পায় নি। আবার এটাও নয় প্রত্যেক বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যাঁরা দুয়ো দেওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীর কৃতিত্বকে ছোট করছেন তাঁদের বলব অন্তত আজকের দিনটি তাঁর জন্য গর্ব অনুভব করুন।”