মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ আবারও বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে সরগরম জেলা তথা রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাম যুবদের ইনসাফ যাত্রার সমাবেশ থেকে কংগ্রেসকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মহম্মদ সেলিম। তারই পাল্টা কার্যত একলা লড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বামদের যুব সংগঠনের ডাকে রাজ্যজুড়ে চলছে ইনসাফ যাত্রা। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের রানীনগরে ইনসাফ পদযাত্রায় যোগ দিতে আসেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পদযাত্রার পরে রানীনগরে নবীপুরে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সেলিম বলেন, “আমরা যখন চোর ধরো জেল ভরোর কথা বলছি তখন চোর কংগ্রেসের পা ধরে বলছে দাদা আমাদের বাঁচাও।” তিনি আরও বলেন, “ভোরের অন্ধকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেশাল প্লেনে রাহুল গান্ধীর ঘরে চলে গেলেন। ২০১১ সালে কংগ্রেস সমর্থন না করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসতেন না।”
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। বিজেপি বিরোধী সেই জোটে তৃণমূলের সঙ্গে যেমন কংগ্রেস আছে তেমনি সিপিএম সহ অন্য বামদল ও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী। সেপ্টেম্বরের এক ও দু তারিখ মুম্বাইতে ছিল সেই জোটের প্রথম বৈঠক। তার ঠিক আগেই ভোরবেলা রাহুল গান্ধীর বাস ভবনে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানিনগরে এদিন সেই বৈঠকের কথাই উঠে এসেছে সেলিমের গলায়।
এরপরে শনিবার সন্ধ্যায় অধীর কার্যত নিশানা করেছেন মহম্মদ সেলিমকেই। লোকসভা নির্বাচনে একলা লড়াইয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অধীর। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, “বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রকে নেতা হিসাবে জানি। সেলিমকে এমপি হিসাবে চিনি। কমিউনিস্ট নেতা হিসাবে জানিনা। গত লোকসভায় বামেদের সাথে জোট হয়নি। একাই লড়ে দুটো আসন জিতেছিলাম। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে বলেছি রাজ্যে। আর কেউ থাকলে তাঁদের সাথেও লড়াই হবে। আমাদের কোনও ভয় নেই দ্বিধা নেই। একা লড়তে পারি।”
মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ স্তরে দুই দলের বোঝাপোড়া হলেও সার্বিক ঐক্য হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে অধীর-সেলিম তরজায় তাহলে কী ফের জোটের দুয়ারে কাঁটা?