নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুর স্টেডিয়াম থেকে ঘোষণা করছেন তাঁর সরকারি প্রকল্প। কন্যাশ্রী থেকে ঐক্যশ্রী সবকিছুর প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী। ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্কুল ইউনিফর্ম পরে এসেছে পড়ুয়ারাও। তারমধ্যেও চোখ চলে গেল ফাঁকা মাঠের পানে।
সেখানে বসে গঙ্গার ওপারের বাসিন্দা মিঠুন হালদারের ছেলে। সে গোয়ালজান হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। বাবার সঙ্গে বসে জল, চিড়ে, নিমকি বিক্রি করছে। মমতার সভা থাকলেও স্কুল ছুটি ছিল না শহরের। তাহলে স্কুলে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কেন এসেছে জানতে চাওয়া হলে মিঠুন বলেন, “ছেলের চোখ ফোটাতেই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। যাতে না ঠকে যায় কোথাও।” ছেলে কিন্তু নিরুত্তর। মিঠুন বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হকারি করে সংসার চালান। নিজেই দাবি করলেন, “ও স্কুলে যায়। পড়াশোনাও করে।” যেটা আড়ালে ডেকে বললেন, “দু-পয়সা বেশি রোজগার যদি হয় এসব বেচে তাই ছেলেকে নিয়ে এসেছি মাঠে।”
সামনেই দাঁড়িয়েছিল নির্বিকার পুলিশ। তারাও জল কিনলেন। তাঁদের জল দিয়ে গুণে নিল নাবালক বিক্রেতা। এলেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দু-একজন নেতাও। তাঁরাও কিছু বললেন না। আইনজীবী স্বরুপ দত্ত বললেন, এখন থেকেই ছেলেকে হকার হওয়ার পাঠ দিচ্ছেন বাবাই। কিন্তু ভাবলেন না কষ্ট করে পড়াশোনা করলে একদিন ছেলে ভাল চাকরি করতে পারে।”