Minakshi Mukherjee কান্না ভেজা চোখে লড়াইয়ের শপথ, ‘সাহস রাখো’ বললেন মীনাক্ষী মুখার্জী

Published By: Imagine Desk | Published On:

Minakshi Mukherjee মুখে হাসি, চোখে জল। ভারাক্রান্ত মনে আবেগঘন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল ডিওয়াইএফআই এর ২০ তম রাজ্য সম্মেলনের শেষলগ্ন। কারও পিঠ চাপড়ে সাহস যোগালেন তিনি। কেউ কান্না ভেজা চোখে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। ২৩ শে জুন মীনাক্ষী মুখার্জী বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ২০ তম রাজ্য সম্মেলন মঞ্চ থেকে যুব ফেডারেশন থেকে বিদায় নিলেন। বিদায় বেলায় একে ওপরকে এভাবেই সাহস যোগালেন, ভরসা দিলেন।

বিদায় বেলায় আবেগঘন মুহূর্ত

 

Minakshi Mukherjee মীনাক্ষী মুখার্জী। বাম ছাত্র যুব আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ। রাজনৈতিক জীবনের শুরু বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের মধ্য দিয়ে। ২০১৮ সালে মীনাক্ষী মুখার্জী ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি হন। ২০২১ সালে তিনি রাজ্য সম্পাদক হন রায়গঞ্জের ১৯ তম সম্মেলন থেকে। মীনাক্ষী মুখার্জী ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর বাম ছাত্র যুবদের ‘মরা গাঙ্গে’ যেন জোয়ার আসে। ইনসাফ যাত্রার মধ্যে দিয়ে সারা রাজ্যে জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে ডিওয়াইএফআই এর উদ্যোগে এককভাবে ব্রিগেড সমাবেশ, কার্যত রাজ্যের ইতিহাসে অন্যতম ‘মাইলস্টোন’। আনিস খান থেকে আর জি কর, ফরাক্কা থেকে সামসেরগঞ্জ সর্বত্রই ছিল যুব নেত্রী হিসেবে মীনাক্ষীর দৃঢ় পদক্ষেপ। যুব নেতৃত্ব থেকে সরলেন মীনাক্ষী। বললেন, সংগঠনে অন্য কোন মঞ্চে কাজ করব। মনটা কিন্তু ডিওয়াইএফআই এই থেকে যাবে’ বিদায়ী ভাষণেও মীনাক্ষী মনে করালেন শিকড়ের টান কতটা দৃঢ়। আগামির পথ চলায় কীভাবে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যায় পরামর্শও দিয়ে গেলেন। মীনাক্ষীর কথায় – সাহস রাখো, বন্ধুদের উপরে চোখ বন্ধ করে ভরসা করো আর রাস্তায় টিকে থাকো।

একসাথে

 

Minakshi Mukherjee বিদায়ী ভাষণে মীনাক্ষী বলেন, ‘ সংগঠনে অন্য কোন মঞ্চে কাজ করব। মনটা কিন্তু ডিওয়াইএফআই এই থেকে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি মীনাক্ষী কিছু না, ডিওয়াইএফআই যা একজন ব্যক্তি সংগঠককে শিখিয়েছে সেটাই দিয়েছি। আর ডিওয়াইএফআই ব্যক্তি সংগঠক হিসেবে মীনাক্ষীকে শিখিয়েছে সাহস করো আর কর্মীদের সঙ্গে, বন্ধুদের উপরে চোখ বন্ধ করে ভরসা করো আর রাস্তায় টিকে থাকো। দেখো সবাই মিলে জিতে যাব।’ কার্যত ভারাক্রান্ত মনেই মীনাক্ষী বলেন, ‘ কোনও জায়গা কারও জন্য থাকে না চিরকাল। আজকে আমরা আছি। কালকে অন্যরা আসবে। পরশুদিন আরও অন্যরা আসবে। কিন্তু ডিওয়াইএফআই টা থেকে যাবে, আবেগটা থেকে যাবে, দায়িত্বশীলতা থেকে যাবে, আমাদের মধ্যে কমরেডশিপ থেকে যাবে। ডিওয়াইএফআই দুটো জিনিস শিখিয়েছে। মেজাজ আর ব্যবহার কোথায় রাখতে হয়। ‘