Minakshi Mukherjee বহরমপুরে প্রকাশ্য সমাবেশে ফের গর্জন DYFI রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জীর। সমাবেশ মঞ্চ থেকেই নিলেন শপথ। ২৬ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এ কী বার্তা দিলেন মীনাক্ষী? শনিবার বিকেলে বহরমপুরে টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে ডিওয়াইএফআই এর প্রকাশ্য সমাবেশ মঞ্চে মীনাক্ষীর বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ অব্ধি নিশানায় থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বক্তব্য শুরুতেই মীনাক্ষী বলেন, ‘আসাম, ত্রিপুরা, ওড়িশা থেকে লোক এসেছেন। ছাত্র , যুব, খেটে খাওয়ারা এসেছেন। মাঠ সভার অনুমতি দিল না। এবার চ্যালেঞ্জ- “পশ্চিমবঙ্গকে ময়দান বানাব”। আজ আমাদের লড়াকু মানুষদের সমাবেশ বলছে ধর্ম শেষ কথা বলে না। পেটের খিদে আর হাতের কাজ শেষ কথা বলে। শুধু কলকাতার অফিসে বসে নেই DYFI। এই রাজ্যের একদম শেষ গাঁয়ে লোকটার পায়ের জমি শক্ত করব। মেহনতি মানুষের কাজের দাবীতে লড়াই করছে DYFI। রাজনীতিকে বাদ দিয়ে সমাজ নয়। সমাজকে বদলাতে হলে রাজনীতি বদলাতে হবে।’
Minakshi Mukherjee এদিনও সমাবেশ মঞ্চে ‘গুন্ডারাজ’ প্রসঙ্গে হুঙ্কার মীনাক্ষীর। বলেন,- ‘গোটা দেশে বিভাজনের রাজনীতি আর পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডারাজের রাজনীতি। তাঁর প্রশ্ন- চলছে না পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডারাজের রাজনীতি? সরকার না চাইলে কালোবাজারি সম্ভব? সরকার না চাইলে কারও এত দম যে কয়লা পাচার করে দেবে? সরকার না চাইলে বিএলআরওকে পকেটে ভরে আমাদের জমি অন্য কারও নামে কেউ ট্রান্সফার করে দিতে পারে? আরও বলেন, যখন আমরা দাবী গুলো করছি, ১০০ দিনের কাজ দাও, চাকরি দাও, স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ করো, বেকার ছেলে মেয়ে গুলোকে মাথা উঁচু করে খাটার জায়গা দাও। যখন আমরা বলছি আরও কারখানা বাড়াও। আমরা যখন বলছি চা বাগান থেকে শুরু করে বন্ধ জুট মিলের কারখানাগুলো পর্যন্ত খুলে দাও। আমরা কাজ করি খাঁটি, গতর খাটাই। এদের কাছে আমাদের কথার কোন যুক্তিপূর্ণ উত্তর নেই। এরা আমাদের ডেপুটেশন পর্যন্ত নিতে চাইছে না। বহরমপুরের মাটিতে ডিএম অফিসে যতবার ডেপুটেশন দিতে এসেছেন এরা আটকে দিয়ে, পিটিয়ে, জেলে ভরে দেয় নি! আমরা যখন রাস্তায় নেমেছি এরা আমাদের বিরুদ্ধে গুন্ডা লেলিয়ে দিয়েছে। তাঁর কটাক্ষ- দুধরনের গুন্ডা আছে। একটা তৃণমূলের চুরির পয়সায় আমাদের এলাকায়, গ্রামের ছেলে মেয়েগুলোকে এরা গুন্ডাতে পরিনত করেছে। এরা আমাদেরকে পেটায় আর একাংশের গুন্ডা আছে পুলিশ নাম ওঁদের খাকী উর্দি পরে নিয়ে আমাদেরকে পেটাচ্ছে। এই দুই গুণ্ডামির বিরুদ্ধে লড়াই, এই দুই গুন্ডাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে’। আরও বলেন, ‘ গুন্ডারাজের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আর জি করের ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়ে যাওয়া মেয়েটার শরীরটাকে যে কাউন্সিলারটা পার্টি আর সরকারের নির্দেশ মতো যার উপরে বর্তে ছিল যে শরীরটাকে পুড়িয়ে দাও, তাঁকে পুরস্কৃত করল, চেয়ারম্যান করে দিল। জায়গা পেল না আইন। গোটা রাজ্যের মায়েরা রাত জাগল। পাত্তা দিল না সরকার। এগুলো গুন্ডারাজ নয়! নেহি হ্যা ইয়ে গুন্ডারাজ? পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডারাজ চলতে পারে? চলবে না তো? তাহলে গুন্ডারাজ খতম করতে হবে।
Minakshi Mukherjee সমাবেশ মঞ্চ থেকেই শপথের ডাক দেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। বলেন, ‘ বামফ্রন্ট সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসে ডি ওয়াই এফ আই শপথ গ্রহণ করছে ২৬ এর ইলেকশনে পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডারাজ খতম করার জন্যে বুথে বুথে ডিওয়াইএফআই থাকবে।’ মীনাক্ষী দাবী করেন, ‘ মহম্মদ সেলিম অধীর চৌধুরী এরা জিতবে না! কেন? কারণ এরা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলে এরা চোর। এদের কোন অধিকার নেই সংসদে বসার। তাই মহম্মদ সেলিম আর অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে দিতে হবে। তাহলে জিতবে কে? পাউডার লাগানো হিরো হিরোইনরা আর ইউসুফ পাঠানরা। রাজনীতি বিরাজনীতিকরণ চলছে। কাজের দাবীতে গুন্ডারাজ খতম করতে হবে। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বাঁচুক, সরকারি স্বাস্থ্য বাঁচুক। গুন্ডারাজ খতম করো।’