মাসুদ আলিঃ সামসেরেগঞ্জঃ দুই হাতে কাজ করে ভাত জোগাতেন প্রতিদিনের। কাজ করতে গিয়ে ঘটা দুর্ঘটনায় হারাতে হয়েছে সেই দুইটি হাতই। হাত হারিয়ে পথে বসেছেন ধূলিয়ানের পরিযায়ী শ্রমিক ইদু মোমিন।লকডাউনের পর আর বাইরে কাজ করতে যেতে পারেননি। ওমরপুরে কাজ করছিলেন ‘ভাংরি’ কারখানায় । কাজের সময় মেশিনের মধ্যে চাপা পড়ে দুই হাতে। বাদ দিতে হয়েছে দুটি হাতই।
ধূলিয়ান পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইদু পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। বাবা, মা, স্ত্রী দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ইদু মোমিন।
বছর ছাব্বিশের ইদু করোনার জেরে কাজ হারিয়ে রাঁচি থেকে ফিরিয়েছিলেন ধুলিয়ানে। লকডাউন উঠলেও অন্য রাজে কাজে যেতে পারেননি। বাড়ির কাছেই ওমরপুরে টিন ভাঙা, লোহা ভাঙার একটি ছোট কারখানায় কাজ নিয়েছিলেন। সেখানে ঘটা দুর্ঘটনায় এভাবে মুহূর্তে জীবন বদলে যাবে ভাবতেও পারে নি ইদু মোমিনের পরিবার।
ইদু মোমিনের দুর্ঘটনায় অভাবের সংসারে নিভেছে আশার আলো। পরিবারের প্রত্যেকের চোখে মুখে হতাশা আর দুশ্চিন্তা। সামান্য বসতভিটে ছাড়া আর কোন জমিও নেই ইদু মোমিনের পরিবারের।
ঘটনায় মর্মাহত প্রতিবেশীরাও । এই পরিবারের ভবিষ্যৎ কী ? উত্তর নেই প্রতিবেশীদের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দা সফেদা খাতুন বলেন, আমরা সকলেই চাইছি এই পরিবারকে সরকার সাহায্য করুক।
দেখুন বিস্তারিত রিপোর্টঃ https://www.youtube.com/watch?v=XmH9iRZzYm0