নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অনেক সময় দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে যান পরিযায়ী শ্রমিকরা Migrant Workers। হেনস্থার শিকার হন। তা নিয়ে অনেক সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়তা দেখা যায়। কিন্তু এই ঘটনা ঘটছে খোদ আমাদের দেশেই! আধার কার্ড, পাসপোর্টের নথিও থাকা সত্ত্বেও হেনস্থার অভিযোগ। এবার উত্তর প্রদেশ Uttar Pradesh। পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা বন্ধে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন। বুধবারই তিনি কথা বলবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। এদিনই উত্তর প্রদেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বস্তি জেলার নগর থানা এলাকা থেকে বহরমপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ১৫ জনকে ফেরানো হয়েছে। যাঁদের বাড়ি দোসীমানাপাড়া ,হালসানাপাড়া, এবং চাঁদপাড়া। তাঁরা হকারি করতেন। তাঁদেরকে সেখানে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। এদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট নাগাদ চৌরীগাছা রেল স্টেশনে নামেন তাঁরা। ১৩ জন ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে আসেন। বাকি দু’জন সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
Migrant Workers News মুর্শিদাবাদের দসিমানপাড়ার বাসিন্দা নূর মহম্মদ সেখ বলেন, আমরা ১৭ দিন ধরে উত্তর প্রদেশে রয়েছি। আমাদের গত বৃহস্পতিবার থেকে ৪ দিন আটকে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে আধার কার্ড, পাসপোর্টের নথি ছিল। রাজনীতির জন্যে আচমকা এটা করা হয়েছে। এদিন ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরা হলেন, দসিমানাপাড়ার বাসিন্দা হজরত সেখ, মীর আব্দুল করিম, এজাই সেখ। এছাড়া মরজল সেখ, সাহসেন সেখ, মোহন সেখ, আনারুল সেখ, কুরমান সেখ, মাহাচেন সেখ, ঈদ মহম্মদ সেখ, সেন্টু সেখ, হীরালাল সেখ। এদিন মুর্শিদাবাদে ফেরার পর প্রত্যেককে ফুল এবং জল, মিষ্টি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন আপলোড করা পর্যন্ত এই বিষয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।